ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা ॥ আটক ৩

বগুড়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর কাউছার মর্তুজা অভি হত্যার ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় নামীয় ৮জন সহ অজ্ঞাত ৯জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় হিমেল (৩২), সোহাগ (৩০) ও জাহিদ হোসেন (২৬) কে আটক করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের মৃত শেখ হোসাইন কাউছার ফুয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মর্তুজা কাউছার অভির সাথে পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২), উলিপুর এলাকার মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী এনামুল মুসলিমিন সোহাগ (৩৫), শাহবন্দেগী ইউনিয়নের পাকছার আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পী (৩৭), পৌর শহরের হাটখোলা খন্দকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা, খানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর ছেলে হিমেল (৩২), প্রফেসরপাড়া এলাকার মৃত জিল্লুর রহমান মাস্টারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), পূর্ব দত্তপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার রকি (২৭) ও জাহিদ হোসেনের (২৬) হাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় অভি উপজেলা নয়াপাড়া এলাকায় মুজাহিদ কার ওয়াশ সেন্টারে কার ওয়াশ করতে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সেখানে উল্লেখিত বিবাদীগণ পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকে। এ সময় হিমেল অভির সাথে থাকা শরিফ সহ স্থানীয় লোকজনদের সরিয়ে নিয়ে যায়। সেই সুযোগে বিবাদীরা তাকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে সিনেমা স্টাইলে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা আকতার লিমা বাদি হয়ে উল্লেখিত ব্যাক্তি ও অজ্ঞাত ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শেরপুর থানা পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে হিমেল, সোহাগ ও জাহিদ হোসেন কে আটক করেছে। এ হত্যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলেরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। এছাড়াও এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, হত্যা মামলার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং বাকি আসামীদের আটকের জোর তৎপরতা চলছে।