ঢাকা, বুধবার ১৫ মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছেছে ডিজিটাল সেবা: নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

আমিনুল জুয়েল, নওগাঁ : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৩৪:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে বর্তমানে শহর আর গ্রামের মধ্যে তেমন পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না।  ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা এখন পল্লী এলাকাসহ দেশের সবখানে পৌঁছে গেছে।  এই ডিজিটাল সেবার সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষই ভোগ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

 

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে সরকারের সর্বস্তরে ই-সার্ভিস চালু হয়েছে। ফলে সব দফতরের দুর্নীতিও কমেছে।  বিশেষ করে করোনার মধ্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও অনলাইনভিত্তিক ক্লাস পরিচালনার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।

 

রোববার ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

 

মন্ত্রী বলেন, দিন পাল্টেছে।  আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। ২০০৮ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন, তখন অনেকেই বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ কি? অনেকে আবার এটিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যও করেছিল অনেকে। অথচ ১২ বছর পরই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছি।  সবাই এখন ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি।

 

নাগরিক সেবাসমূহ ডিজিটালাইজড হওয়ার ফলে সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এখন সরকার অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি মিলার এবং কৃষকদের নিকট থেকে ধান-চাল ক্রয় করছে। এজন্য কৃষক হয়রানি এবং দুর্নীতি কমে গেছে।

 

নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল পদ্ধতিকে সঠিকভাবে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করার এবং অপব্যহার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

 

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এবং সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ প্রমূখ।

 

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অনুপ্রেরণার বাতিঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ফেস্টুন উড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদরশ দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।