ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে আইএমএফের ঋণ: দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৩২:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভায় উঠছে আজ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদন হলেই ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএমএফর ঋণ কর্মসূচির আওতায় দেওয়া শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। তবে নানা ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করায় দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে ঢাকা সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আশা করা যায় আজ আইএমএফর বোর্ড সভায় দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হবে। এর ফলে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার শিগগির পাওয়া যাবে। তাছাড়া চলতি মাসে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে আরও প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই এসব সংস্থার কাছ থেকে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার আসছে। এসব অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যুক্ত হলে রিজার্ভের পরিমাণও বেড়ে যাবে।

 

আইএমএফ চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। অর্থনীতির সংকট মোকাবিলায় এ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুনভিত্তিক বিভিন্ন সূচকে শর্ত পালনের অগ্রগতি দেখতে ৪ অক্টোবর আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে। মিশনের নেতৃত্ব দেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।

 

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিশনকে জানানো হয়, অন্যান্য শর্তের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে রিজার্ভ এবং রাজস্ব আয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। দেশের জাতীয় নির্বাচনের পর এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে। মিশনটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের সঙ্গে টানা ১৬ দিন বৈঠক করে।