ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য কল্লগ্রাম এটিআই মাঠ

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৫ মে ২০২২ ০৯:৩৮:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের আওতাধীন কল্লগ্রাম সংলগ্ন এটিআই মাঠ এখন মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা শুরু হয় বলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। শেষ রাতে ওই এলাকায় বসে ছিনতাইকারীদের আড্ডা। এই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী বিসিক শিল্পনগরীর শ্রমিকরা ছিনতাইয়ের শিকার হন ওইসব ছিনতাইকারীর হাতে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সিলেট এগ্রিকালচার ইন্সটিটিউট এর পূর্ব পাশে তাদের গবেষণার কাজে ব্যবহারিত মাঠ এটিআই মাঠ নামে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে এটা খেলার মাঠ নামেই পরিচিত। বছরখানিক আগে মাঠে দেয়ালের প্রাচীর তৈরী করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেয়ালঘেরা মাঠে সন্ধ্যা পরে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশের। আর তখন চিহ্নিত মাদকসেবীরা সেখানে আড্ডা জমায়। তাদের ব্যাপারে এটিআই কর্তৃপক্ষও কিছু বলতে চান না।

স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বলেন, ‘দেয়ালঘেরা মাঠের ভেতরে কেউ গেলে বাইরে থেকে সহজে বোঝা যায় না। ফলে মাদকসেবীরা সহজেই এই মাঠকে নিরাপদ মনে করে।

তিনি জানান গত ৩০ এপ্রিল তার ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তাঁর ছেলে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের স্বীকার হলে স্থানীয় যুবসমাজের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফোন ফেরত দেয় ও ভবিষ্যতে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

 স্থানীয়রা জানান বিসিকে কর্মরত শ্রমিকরা প্রায়ই এদের খপ্পরে পড়ে সর্বশ্ব হারায়।

সন্ধ্যার পরে মাঠের আশেপাশে কেউ না যাওয়ায়, তারা বাইরে থেকে নেশাদ্রব্য এনে দেয়ালঘেরা মাঠে গিয়ে সেবন করে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মাঠের ভেতরে কিছু যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বিশেষ করে এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেশাগ্রস্ত ছেলে এখানে ঘোরাফেরা করে।

এছাড়াও নিরীহ পথচারীদের ধরে দেয়ালঘেরা নির্জন মাঠে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র বা মাদকদ্রব্য তুলে দিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও ধারন করে ব্ল্যাকমেইল করারও খবর পাওয়া গেছে।

এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও টহল পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা।