ঢাকা, শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে পোশাক রপ্তানি

বাণিজ্য ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

দেশের পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পোশাক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

 

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

 

উল্লিখিত সময়ের মধ্যে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দেশের পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে ১৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগে ছিল ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

তবে, নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি কমেছে। এ মাসে রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যদিও ওভেন এবং নিটওয়্যার উভয়ের রপ্তানি কমেছে, তবে নিটওয়্যারের তুলনায় ওভেন পোশাকের জন্য এই পতন আরও গুরুতর ছিল।

 

উল্লিখিত ৫ মাসে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ নিটওয়্যার রপ্তানি ছিল ১০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওভেন পোশাকের রপ্তানি ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাসসহ ৭ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ এর নভেম্বরে ওভেন রপ্তানি ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং নিটওয়্যার ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

 

লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন (জুলাই-নভেম্বর, ২০২৩-২৪):

এই সময়ে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে অর্জিত হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ পিছিয়ে।

 

শুধু নভেম্বর মাসের লক্ষ্যমাত্রা:

শুধু নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। অর্জিত হয়েছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ শুধু নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ পিছিয়ে।

 

বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, শ্রম অসন্তোষের সময় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খুচরা বিক্রয় ও চাহিদার মন্দার কারণে এ ধরনের মন্থরতা হতে পারে।

 

তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত বিষয় ছিল, কারখানাগুলো বন্ধ ছিল—এগুলোর একটা প্রভাব পড়েছে। যে কারণে নভেম্বরেও প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে, আমরা মোটের উপর খারাপ করছি না। নভেম্বরেও আমরা ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছি। যেটা হয়েছে, গতবছরের এই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। ফলে, এখন সেটা কমে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী এটি কাটিয়ে উঠতে পারব।