ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন: শ্রীবরদীতে জনমতে এগিয়ে অধ্যক্ষ মুক্তা

তারিকুল ইসলাম: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৪ অক্টোবর ২০২২ ১২:২৮:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর
আসন্ন শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের ন‍্যায় জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় অন্যান্য সাধারণ ওয়ার্ডের মতো ২নং ওয়ার্ড (শ্রীবরদী) উপজেলাতেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনে শ্রীবরদী উপজেলার মোট ১৪৬ জন ভোটারের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। তবে, নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ২নং সাধারণ ওয়ার্ড (শ্রীবরদী) উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাঠ জরিপে যোগ্যতা ও প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল হাসান মুক্তা। ক্লিন ইমেজের জন্য ভোটারদের কাছে এবং সাধারণ মানুষের আলোচনায় সবার আগে তার নাম।
 
বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ভোটার নাম না প্রকাশ করার শর্তে অভিমত প্রকাশ করে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে অধ্যক্ষ মুক্তা ভাই শিক্ষিত, নীতিবান, সৎচরিত্রের অধিকারী। আমরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মুক্তা ভাইকে বাছাই করেছি। তাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট দিয়ে সদস্য নির্বাচিত করবো। তাকে নির্বাচিত করতে পারলে শ্রীবরদী উপজেলার মানুষের অধিকার আদায় হবে।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন তিনি ছুটে যাচ্ছেন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভা, উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে। নিজের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি দিচ্ছেন নানামুখী প্রতিশ্রুতি। এতে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী হিসেবে সততা ও যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন। এ জন্য দিন দিন তার সমর্থন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য পদে যার বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে দেখছে না ভোটাররা।
 
নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ মুক্তা বলেন, আমি প্রতিদিন ১০টি ইউনিয়নে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। ভোটাররা আমাকে ব‍্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। আমি ছাত্রাবস্থা থেকেই সেবামূলক কার্যক্রম ও সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত আছি। আমি বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় রয়েছি। এটাও একটা মহান পেশা। তবে বড়পরিসরে 
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সেবা নিশ্চিত করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নেই। তাই আমি মনে করি জনপ্রতিনিধি হলে শ্রীবরদী উপজেলার 
শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করতে পারবো।
 
খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য মোশারফ হোসেন ননী বলেন, অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল হাসান মুক্তা একজন শিক্ষানুরাগী ও দানবীর মানুষ। তিনি উপজেলার খরিয়া কাজিরচর মডেল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তার প্রচেষ্টায় কলেজটি প্রতি বছর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে সারা দেশে এক থেকে দশের মধ্যে থাকে। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন যা আমাদের জন্যে গর্বের। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল হাসান মুক্তা ১৯৯৫ সালে এসএসসি ও পরবর্তীতে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে ময়মনসিংহের প্রখ্যাত আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স (সম্মান) সহ মাষ্টারস ডিগ্রি শেষ করেছেন।