ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে বারি সরিষা-১৪ আবাদের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:৫৯:০০ অপরাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

শেরপুরে আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী স্বল্প মেয়াদী বারি সরিষা-১৪ আবাদের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার কৃষক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সরিষা খেত সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত ওই মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।

 

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বারি গাজীপুরের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সহিদুজ্জামান। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে বারি, শেরপুর অঞ্চলের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে। মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বারির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, তৈল বীজ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুরের উপপরিচালক ড, মোহিত কুমার দে, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি বেগম, বারি শেরপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শামছুর রহমান, কৃষক মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

 

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি দেবাশীষ সরকার বলেন, সরিষা একটি তেলজাতীয় মূল্যবান ফসল। এটি আবাদের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবেন। পাশাপাশি বিশুদ্ধ সরিষার তেল উৎপাদন ও গ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে। যে জমিতে সরিষা আবাদ করা হয় সেই জমিতে পরবর্তী সময়ে বোরো ধান আবাদ করলে সারের পরিমাণও কম লাগে। তাই আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা আবাদের জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সাধারণত এক বিঘা জমিতে ৫ মণ থেকে ৬ মণ সরিষা উৎপন্ন হয়। আর ওই সরিষা ভাঙালে প্রায় ৮৫ কেজি তেল পাওয়া যায়। যা অত্যন্ত লাভজনক বলে তিনি জানান।

 

মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য প্রদান করেন, বারির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, তৈল বীজ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুরের উপপরিচালক ড, মোহিত কুমার দে, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি বেগম, বারি শেরপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শামছুর রহমান, কৃষক মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

 

মাঠ দিবসে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের শতাধিক কিষাণ-কিষাণি অংশ গ্রহণ করেন। এদিকে বুধবার বিকেলে বারি, শেরপুর অঞ্চলের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে সদর উপজেলার খুনুয়া গ্রামে বারি মটর শুটি-৩ এর উৎপাদন ফলাফল প্রদর্শনপূর্বক আরেকটি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।