ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

সিলেট দাসপাড়ার সুগন্ধা নার্সারির যৌবনকাল শুরু

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৭ মে ২০২২ ০৪:৩৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সিলেটসহ সারা দেশের নার্সারিগুলোতে যৌবনকাল শুরু হয়েছে। সিলেট শহরতলির দাসপাড়ার সুগন্ধা নার্সারিতেও শুরু হয়েছে ওই যৌবনকাল। এই যৌবনকাল স্থায়ীত্ব থাকবে তিন মাস। এই তিন মাস হলো মে, জুন ও জুলাই মাস। নার্সারি মালিকরা মাসখানিক আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের চারা মওজুদ করছেন। গ্রাহকের চাহিদা পূরণে নার্সারি মালিকরা অনেক যত্নশীল।

 

দৈনিক বায়ান্নের কাছে ওইসব তথ্য তুলে ধরেছেন সুগন্ধা নার্সারির মালিক দেলোয়ার হোসেন।

 

ওই তিন মাস নার্সারির যৌবনকাল কেন হয় জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই তিন মাস প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বৃক্ষরোপণের উত্তম সময় এই তিন মাস। এই সময়ে বিপুল পরিমাণ চারা বিক্রয় হয়। গ্রাহকরা চারা রোপণে এই সময়কে বেছে নেন। এই সময় চারা রোপণ করলে তার মারা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। ফলে এই সময় এলে গ্রাকরা ভীড় জমান নার্সারিগুলোতে।  ফল ও কাঠের গাছ প্রচুর পরিমাণ বিক্রয় হয় এই তিন মাসে। শীত মৌসুমে বিক্রি হয় ফুলসহ কতিপয় গাছ।  

 

তিনি জানান, মে, জুন ও জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় হয় আম, নারকেল, পেয়ারা, জাম, আতা, জাম্বুরা, মাল্টা, কমলা, বাতাবি লেবু,  শরিফা ইত্যাদি। কাঠ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় হয় আকাশ, কদম, রেনট্রি, মেহগনি, বেলজিয়াম ইত্যাদি। 

 

তিনি জানান, ক্রেতারা গাছের চারা রোপণে অনেকটা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিনই তার নার্সারিতে অনেক ক্রেতার সমাগম ঘটছে। অনেকে গাছ কিনছেন। অনেকে আবার চারা নির্বাচন করে পরদিন এসে নিয়ে যাচ্ছেন। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এমন প্রজাতি গাছের চারার প্রতি মানুষের অনেক আকর্ষণ। সাতকরা, থইকরা, ডেপল, গোলাপজাম, কাউফল ইত্যাদি গাছের চারা সংগ্রহ করতে চান অনেক ক্রেতা। কারণ এসব গাছের ফল মানুষের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে। পশু পাখির খাবার জোগায়। কিন্তু এসব গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। বনবিভাগের বনে গেলে এসব গাছের দেখা পাওয়া যায় না। বিদেশি গাছে সমৃদ্ধ করে রাখা হয়েছে বন।

 

দেলোয়ার জানান, একসময় বন জঙ্গলের পাশ দিয়ে হেটে গেলে পাখির কিচিরমিচির শব্দে মন ভালো হয়ে যেত। ওই শব্দ এখন প্রায় স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।