ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

“নিজের জমি বিক্রি করে হামলার শিকার হচ্ছি”

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর


নিজের জমি বিক্রি করে হামলার শিকার হচ্ছি। আমার জমি আমি বিক্রি করবো স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদা দিতে হবে কেন? জমি আমার খেলার মাঠ দাবি করে নানা রকম ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে চাঁদাবাজরা। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। মানবন্ধনে কথা গুলো বলছিলেন জমির মালিকানা দাবি করা নুরুল হুদা।

মঙ্গলবার শহরের চৌরাস্তায় ভুক্তভোগী জমির মালিকগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন চলে ঘন্টাব্যপী। পরে তারা জেলা প্রশাসাক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেন।

মানববন্ধনে দাড়িয়ে জমির মালিকপক্ষের ওয়ারিশ জুলফিকার আলী ভুট্ট বলেন, আমি অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। খাদ্যনালীতে ঘাঁ ও দুটি ভাল্প নষ্ট হওয়ায় ভারতে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। চিকিৎসার টাকা যোগার করতে বায়নামা সূত্রে জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ সেটিকে খেলার মাঠ দাবি করে আসছে। দখল নিতে দিচ্ছেনা। জমিটি যে ব্যক্তি মালিকানা এতে কোন ভুল নেই। আমি কোন খেলার মাঠ বিক্রি করিনি। আমি আজ আমার পরিবার নিয়ে এখানে দাড়িয়েছি এর সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে।

জমির মালিকানা দাবি করা আরেক ওয়ারিশ নুরুল হুদা বলেন, গড়েয়াতে যে জমিটি খেলার মাঠ দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে আমাদের মালিকানা সম্পত্তি। সরকারের কোন নথিতে সেটি খেলার মাঠ উল্লেখ করা নাই। সেখানে আমাদের রোপন করা গাছ বড় হচ্ছে। কিন্তু অযথায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পাওয়ায় আমাদের সমস্যা করছে। আমরা জমি বিক্রি করেছি। দখলে গেলে আমাদের সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করছে। আমার জমি আমি বিক্রি করতে পারব না এটা তো হতে পারেনা। যদি সেটা খেলার মাঠই হবে তাহলে সরকার হস্তক্ষেপ করুক। সরকার প্রমাণ করুক যে সেটি খেলার মাঠ। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে মানববন্ধন করছি। আমাদের সম্পত্তি বিক্রির অধিকার আমাদের আছে।

বায়নামা সূত্রে জমি ক্রেতা সজল চৌধুরী বলেন, গড়েয়াতে ১১ টি খেলার মাঠ আছে। কিন্তু আমি যে জমি কিনেছি সেটা কোন খেলার মাঠ নয় ব্যক্তিমালিকানা জমি। আমি জমি ক্রয়ের পর সেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে গেলে আমার কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। আমি টাকা না দেয়ায় আমার উপর হামলা চালানো হয়, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা মামলাও করেছি। চাঁদাবাজদের একটি পক্ষ জমিটিকে খেলার মাঠ দাবি করছে। কিন্তু কাগজে কলমে কোথাও সেটি খেলার মাঠ উল্লেখ নেই। এ নিয়ে অনেকবার বসাও হয়েছে। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় তারা বারবার আমাদের সমস্যা করছে। আমরা এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, এই জমির বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছিল কিন্তু সেই জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান তাই এর কোন সমাধান করা হয়নি। আদালতে মামলার রায় হলে রায় অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই জমিটি আমরা সরকারি জেএস ও আএস রেকর্ডের কোথাও খেলার মাঠ উল্লেখ পায়নি।