কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
পদ্মা নদীর তীরে কুষ্টিয়া জেলা ও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত কুষ্টিয়া শহর। তবে এখন জেলা ও শহর দুইটায় হুমকির মুখে।
থামছে না বালি উত্তোলন কারীদের দৈরাত্ব। সরকারী দরপত্রের শর্তানুযায়ী নদী ও হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট এলাকার সীমানার মধ্যে বালি উত্তোলন করা যাবেনা। অবৈধ্য ভাবে উত্তোলন করছে কয়েকটি মহল। নদী ও হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট এলাকার মধ্যে অবাধে বালি উত্তোলন করলেও প্রশাসন নিরব বলে জানান নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ। অবৈধ ভাবে অবাধে বালি উত্তোলনের ফলে লালন শা’হ সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গড়াই নদীর উপর শেখ রাসেল হরিপুর সংযোগ সেতু ও মীর মোশাররফ হোসেন সেতু, ফসলি জমি, মৎস্য খামার, স্কুল – কলেজ, বসত বাড়ী, মসজিদ মদ্রাসা আজ ভাঙ্গনের হুমকির মুখে।
অন্যদিকে আইনি জটিলতায় কারনে গত ১০ বছর কুষ্টিয়ার ২১ টি বালিমহালের ইজারা দিতে পারছে না স্থানীয় সরকার প্রশাসন। জেলা রাজস্ব বিভাগ বলছে, আইনি জটিলতা না থাকলে ইজারার মাধ্যমে সরকার প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করতে পারতো। অদৃশ্য এক ব্যক্তির করা মামলায় আটকে আছে বালিমহাল ইজারার কাজ। তবে বর্তমানে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এ দিকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কারনে জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার কাছে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ দিয়েছে রাজস্ব বিভাগ।