চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার অনুসারীদের সহিংস আচরণ, হামলা ভাংচুর ও প্রচারণায় বাধা প্রদানের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত দাবি করেন পটিয়া আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরী এমপি।
লিখিত বক্তব্যে শামসুল হক চৌধুরী বলেন, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম উস্কানিমূলক ও বিষোদগারমূলক বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন সভা-সমাবেশে। আমার নেতা-কর্মিদের ওপর হামলা করা, তাদের মাঠে নামতে না দেয়ার নির্দেশমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। ওনার সঙ্গে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ সুবিধাভোগী শ্রেণি জুটেছে। সন্ত্রাসীরা পটিয়ায় রীতিমতো তান্ডব শুরু করেছেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। বুধবার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে গণসংযোগে গেলে তারা আমার প্রচারণার ৬-৭টি গাড়ির টায়ার কেটে দেয়। প্রকাশ্যে দিবালোকে রাম দা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একজন ইউপি চেয়ারম্যান এ হামলায় নেতৃত্ব দেন। আমরা এইসকল ঘটনা নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং একটি ঘটনার ইতিমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।
শামসুল হক চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের অফিস, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরসহ নানা প্রতিক্রিয়াশীল কর্মকান্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করছে, আমি সেটা নিয়ে জিডি করবো। যতকিছুই তারা করুক, আমাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারবেনা। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুক, আমার কোনো দুঃখ নেই। তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা পরিষদ সদস্য দেবব্রদ দাশ দেবু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজন চক্রবর্তী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, কোলাগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু ছালেহ চৌধুরী, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হারুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর খালেদ, ব্যাংকার ওমর সুলতান চৌধুরী।