ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর চলমান সামরিক অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে সেসবের প্রত্যেকটির বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক দিক নির্দেশক সংস্থা ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী চার্লস মিশেল।
যদি এই বিচার না হয়, তাহলে ইতিহাসের কাছে সবাইকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা হিসেবে ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন চার্লস মিশেল। সেখান থেকে এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি এখন বোরাদিয়ানকা শহরে আছি। এখানকার অবস্থাও বুচা ও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরের মতোই। যুদ্ধাপরাধের অসংখ্য নজির ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারদিকে।’
‘ইতিহাস কখনও এসব যুদ্ধাপরাধ ভুলবে না; এবং অবশ্যই এসবের বিচার হওয়া উচিত। ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি আসতে পারে না।’
দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশের সব এলাকায় অবস্থানের পর গত মার্চের শেষ দিকে রাজধানী থেকে সরে যায় রুশ সেনারা।
কিন্তু রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার পরই কিয়েভের সংলগ্ন শহর বুচা ও বোরোদিয়ানকায় ১২ শ’রও বেশি বেসামরিক মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশুও রয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবশ্য ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, তবে মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— রুশ সেনারা কেবল সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক গণহাত্যার যে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে— সেটি ‘সাজানো নাটক’।