নিয়মিত তদারকি না থাকায় চরম অনিয়মের মধ্যে চলছে কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নের কাজ। যোগাযোগ ও বিভিন্ন অবকাটামো উন্নয়নে জনবল সংকট অযুহাতে কোন ধরনের দেখবাল ছাড়াই যেন তেন ভাবে করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদর। এমনই একটি কক্সবাজার পোরসভার ৫নং ওয়ার্ডের টিএনটি অফিস সংলগ্ন চৌধুরী পাড়া রোড়ের পাশে নালা নিমার্ণে কাজ। পুরাতন ইট ও নিম্নমানের কাচামাল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। তবে জনবল সংকটের কথা জানালেন পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাবমেরিন ক্যাবলের পিছনের গলি মনাররুল ইসলাম মাদ্রাসার রোড়ে প্রায় ৫০০ ফিটের বেশি একটি রাস্তার আরসিসি ঢালাই ও নালা নির্মাণের কাজ চলমান।
উক্ত রোড়ের ব্যবহৃত পুরাতন নষ্ট ইট তোলে সেগুলো আবার ব্যবহার হচ্ছে নালা নির্মাণের কাজে।
এ বিষয়ে উক্ত কাজের পৌরসভার ঠিকাদার হেলাল জানান, ইটগুলো নষ্ট না করেই নালায় সাইডওয়াল তৈরি সহ রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহার করছি যাতে অপচয় রোধ হয়।
টেন্ডারে নতুন ইটের পরিবর্তে কেন নষ্ট ও পুরাতন ইট ব্যবহারের নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ও পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা বলেন, যদি টেন্ডারের নিয়মের বাইরে গিয়ে এমনটাই করে থাকেন তাহলে সরেজমিনে গিয়ে উক্ত ভেণ্ডারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানিয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ বিষয়টি অবগত করার পরেও পৌরসভা নেয়নি কোন ব্যবস্থা এবং আগের নিয়মে পৌরসভার কাজ চলমান রেখেছে যার ফলে এই অনিয়মের সাথে পৌরসভার কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এলাকার স্থানীয়দের মাঝে।
ঠিকাদার হেলাল উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে পৌরসভা থেকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বলায় বন্ধ আছে। কেন বন্ধ করতে বলেছে তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি আরও বলেন, পুরাতন ইটের ব্যবহার নিয়ম নেই তবুও ব্যবহার করেছি তাই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে পৌরসভার প্রকৌশলী।
একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, কক্সবাজারের অনেক সাংবাদিক তার হাতের মুঠোয় এবং তাদের অনেকেই তার বন্ধু ও ছোট-বড় ভাই সম্পর্কিত।
আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে করেন এমনকি মেয়র মাহাবুবুর রহমানকেও বলেন তাতে আমার কিছুই হবে না।
পৌরসভার নির্বাহী প্রেকৌশলী পরাক্রক চাকমার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার অনিয়মের কথা আমি শুনেছি তাই আজ (গতকাল) তাকে লিখিত চিঠি দিয়েছি পুরাতন ইট সরিয়ে নতুন ইট ও কাজের নিয়ম মেনে আমাদের অবহিত করে কাজ করতে বলেছি। তারপর ও সে আগের মত কাজ করলে তার দায়ভার আমরা নেবনা বলে দিছে। নির্বাহী প্রেকৌশলী পরাক্রক চাকমা মেয়রের অনুমতি ছাড়া পৌরসভার কোন উন্নয়ন কাজের স্টিমিট ও তথ্য কোন সংবাদ কর্মীকে দেয়া যাবেনা ও বলেন। উন্নয়ন কাজে অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি কেন করা হয়না ও উন্নয়ন কাজে পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে কোন প্রতিনিধি কাজে থাকেনা কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে পৌরসভার এতগুলো উন্নয়ন কাজ ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমানের সেল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।