পটুয়াখালীর বাউফলে আবিদ হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে গাছের মগডাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাউফল ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আবিদকে নিরাপদে নামিয়ে আনেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্বজনরা দাবি করেন, শনিবার রাতে আবিদকে একটি জিন ঘর থেকে নিয়ে পাশের রেইনট্রি গাছের মগডালে রেখে দেয়। মাদ্রাসাছাত্র আবিদ হোসেন উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের রামলক্ষণ গ্রামের হেলাল খানের ছেলে। সে উত্তর মদনপুরা হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার ফজরের আজানের সময় বাবা-মা আবিদকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে গিয়ে দেখেন সে বিছানায় নেই। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তার বাবা-মা।
এরপর সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি বাড়ির পাশের উঁচু রেইনট্রি গাছের মগডালে একজনকে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। পরে পাড়ার মানুষ ছুটে এসে আবিদকে শনাক্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, যেখানে আবিদ ঝুলছিল সেখানে কোনো মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়, একেবারে গাছের মগডালে। আবিদকে তার বাবা-মা ডাকাডাকির পরও সে নেমে না আসায় সবাই হতবাক হয়ে যান।
খবর পেয়ে গ্রামের শত শত উৎসুক মানুষ গাছের নিচে ভিড় করেন। ডাক-চিৎকারেও আবিদ গাছ থেকে না নামায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা সাড়ে ১১টায় আবিদকে অচেতন অবস্থায় গাছের মগডাল থেকে নিচে নামানো হয়।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বাউফল ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার ইন্সপেক্টর আরিফুজ্জামান শেখ ও ফায়ার ফাইটার মিজান সর্দার বলেন, প্রায় ১০০ ফুট উঁচু রেইনট্রির মগডালে আবিদ ঝুলছিল। একমাত্র পাখি ছাড়া ওই মগডালে কেউ যেতে পারে না। কিন্তু আবিদ সেখানে কীভাবে গেল তা বুঝতে পারছি না। তারা ঘটনাটি অলৌকিক বলে মন্তব্য করেন।
তবে গ্রামবাসীর ধারণা, রাতে জিন আবিদকে তুলে নিয়ে গাছের মগডালে রেখে দেয়। মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি রূপকথার গল্পের মতো।