চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি বর্ষণকারী যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদকে (৩২) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ছাত্র-জনতার ওপর একাই ২৮টি গুলি ছোড়েছেন তৌহিদুল।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কমলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চান্দগাঁও থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার তৌহিদ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানাধীন শমশের পাড়ার বড় পুকুরপাড় এলাকার মনু সওদাগর বাড়ির মো. সেকান্দরের ছেলে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা থেকে তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ ১২টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে। তৌহিদুলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি একজন পেশাদার সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫টি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে।
চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৌহিদুল একটি শাটার গান নিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। গত ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় তৌহিদুল একাই ২৮টি গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে গুলিতে নিহত হন ১০ জন। আহত হন শতাধিক। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্বজনেরা নগরের বিভিন্ন থানা ও আদালতে অন্তত ২৫টিরও বেশি মামলা করেছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে