সন্তান প্রসব করে ফেলে চলে গেছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন মা। আর এই নবজাতক শিশুকে নিতে তিন নারীর মাঝে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। অবশেষে রেলওয়ে থানার পুলিশ নবজাতটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে গতকাল বুধবার সন্ধায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কবরস্থান এলাকায়।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পৌর করবস্থানের সামনে ঝোপের পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন এক প্রসূতি নারী প্রসব ব্যথায় ছটফট করছিলেন। কিছুক্ষণ পর একটি কন্যা শিশু জন্ম নেয়। সন্তান প্রসবের পর মা শিশুকে ফেলে চলে যান। বিষয়টি ঐখানে থাকা সরুজ নাহার ও চা বিক্রেতা জাকিয়া বেগমের নজরে আসে। পরে শিশুটিকে নিতে দুই নারী কাড়াকাড়ি শুরু করে। এসময় কমলপুর নিউটাউন এলাকার শারমিন বেগম নামে আরও এক নারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে তিনি শিশুটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যান। এসময় তিন নারীই শিশুটির লালন পালনের দায়িত্ব নিতে চান। এ নিয়ে তিনজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে রেলওয়ে পুলিশ শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে সুস্থ আছে বলে জানান। পরে হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। এছাড়াও কে শিশুটিকে লালন পালনের জন্য নিতে পারবেন আদালতের মাধ্যমে তা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা খুরশেদ আলম।
এ প্রসঙ্গে ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদৌস আহম্মদ বিশ্বাস বলেন, কন্যা শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।