লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মাদ্রাসা-ই তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্রকে ৭ বার শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন গিয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্র ও তার বাবা মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাস থেকে মোট ৭ বার ঐ ছাত্রকে বলাৎকার করে শিক্ষক আব্দুর রশীদ। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা ইউনিয়নের বাসিন্দা ।অভিযুক্ত শিক্ষক আঃরশিদ ২ বছর যাবত সে এই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
ছাত্রটি জানায়, বিভিন্ন সময় রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে ঐ শিক্ষক তাকে তুলে নিয়ে তার কক্ষে নিয়ে গিয়ে মুখ ছেপে ধরে বলাৎকার করতো এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলতো বাবা মায়ের কাছে না বলার জন্য। ৭ বার বলাৎকারের পর ছাত্রটি অসূস্থ্য হয়ে পড়লে বাবা মায়ের কাছে সে ঘটনাটি খুলে বলে।
প্রধান শিক্ষক মাওলানা ওজায়ের হোসেনকে বললে তিনি ছাত্রটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায় এবং কৌশলে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্বীকারোক্তি নিয়ে সরিয়ে দেন। এতে অভিভাবকগন এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা কমিটির লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। আজ ১৬ নভেম্বর সন্ধা ৬ টায় খবর পেয়ে সাংবাদিকগন ও সহকারী পুলিশ সুপার রায়পুর সার্কেল এবং রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া ঘটনাস্থলে যান। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান শিক্ষক মাওঃ ওজায়ের হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান শিক্ষক মাও:ওজায়ের হোসেনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযুক্ত শিক্ষককে ছেড়ে দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে পরিবারের অভিযোগে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় আরো তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিযুক্ত শিক্ষক আঃরশিদের বিরুদ্ধে।