ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরী (৪৮) নামে একজনকে ১৬ বছর পরে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ গাজী দেললোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মো. সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ধর্মপুর ভদ্রপাড়া গ্রামের মৃত মর্তেজা আলী চৌধুরীর ছেলে।
সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি মো. সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৮৬০ এর ইউ/এস ৩০২ ধারা অনুসারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দির্ঘদিন ধরে মো. সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরী ও তার চাচাতো ভাই জফিকুল ইসলামের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল। এনি তাদের পরিবারের মধ্যে কয়েক দফায় ঝগড়া ও মারামাড়ি হয় তাদের সাথে। গত ২০০৬ সালের ১৯ আগস্ট জফিকুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে গেলে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজা খুঁজি করে দুই দিন পর অর্থাৎ ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট বাড়ির পাশে টাঙ্গন নদীর চরে বালুতে মানুষের হাত দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখে জফিকুল ইসলামকে মেরে যখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় বালুর নিচে পুতে রাখা হয়েছে। পরে সেখান থেকে জফিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে ২০০৬ সালের ২৫ আগস্টে সদর থানায় জফিকুল ইসলামের ভাই মুকুল চৌধুরী বাদি হয়ে মো. সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ১৩-১৪ জনের নামে মামলা করেন।
তৎকালীন সদর থানার এসআই রেজাউল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে তিন জনের বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর আদালতে জমা দেন।
সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রায় ১৬ বছর পরে ৩১ আগস্ট বুধবার দুপুরে আদালত মামলার প্রধান আসামি সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২ নং আসামী দুলাল হোসেন মামলা চলাকালিন মারা যায় ও ৩ নং আসামি সাদেকুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি সিদ্দিকুল ইসলাম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. হামিদ এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।