ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ এবং টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। বুধবার (৩০মার্চ) রাত নয়টা থেকে ঢাকা কলেজ ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে নিউ মার্কেট এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১০ টার দিকেও সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সব প্রবেশপথ। সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে এবং ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়ক থেকে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি ককটেলের শব্দ শুনে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত সড়কের দুপাশ ফাঁকা হয়ে যায়। ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা রড, চাপাতি, হকিস্টিক নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ঘেরাও করে ফেলেছে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল মেরে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ভেতর থেকে ককটেল বিস্ফোরণ করছে ও ইট পাটকেল ছুড়ছে।
পথচারীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পথচারীদের থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া বাইক চালকদের মারধর করে তাদের হেলমেট কেড়ে নিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিউ মার্কেট রণক্ষেত্র
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাকা কলেজের নর্থ হলের তিন শিক্ষার্থীকে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে। এরপর নর্থ হলের শিক্ষার্থীসহ ঢাকা কলেজের অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা এসে টিচার্স ট্রেনিং কলেজে হামলা শুরু করে। তবে কী কারণে ওই তিন জনকে মারধর করা হয় তা জানা যায়নি।
নিউ মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার মো. মেহেদী হাসান জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও টিচার্স ট্রেনিংয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষেরর ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক।
নিউ মার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহেব আলী বলেন, ঘটনার বিস্তারিত এখনও আমরা জানতে পারিনি। সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ডাকা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছু সময়ের মধ্যেই ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যোগ দেবে।