দেশে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জনগণের পকেট থেকে এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার থেকেই মিল গেটে তদারকি করবে সংস্থাটি। আর হঠাৎ সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে মিল মালিক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
দেশে সয়াবিনসহ ভোজ্যতেল চাহিদা ২০ লাখ টন। যার প্রায় পুরোটায় আমদানি করে দেশে পরিশোধন করে বিক্রি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
আরও পড়ুন: নগরীতে মশা নিয়ে পূর্বাভাসকে উড়িয়ে দিলেন মেয়র তাপস
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছেন, শুধু রমজান মাসে তেলের চাহিদা বেড়ে আড়াই লাখ টনে পৌঁছায়। এবারও সয়াবিন তেলের আমদানি ও মজুদ দুটোই বেশ ভাল।
অথচ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণের পকেট থেকে এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানালেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
কেন হুট করেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো তা জানতেই বুধবার কারওয়ান বাজারে সয়াবিন ও পামওয়েল উৎপাদক ও ডিলারদের সাথে বৈঠকে বসে ভোক্তা অধিদপ্তর।
সভায় মিল থেকে সরবরাহ কম করায় দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ মৌলভিবাজারের ডিলারদের। তবে ডিলারদের অভিযোগ মানতে নারাজ মিল মালিকরা।
তারা দাবি করেন, অন্যান্য সময়ের মতোই সরকারি মূল্যে তেল সরবরাহ করছেন তারা। তবে ঠিক কি কারণে তেলের দাম বাড়ছে সেটা পরিস্কার করেননি তারা।
এ সময় টিসিবির হাতে চার কোটি লিটার তেল রয়েছে জানিয়ে মিল গেটে তদারকির সিদ্ধান্ত নেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জানান, মিল গেটে সরেজমিন সাপ্লাই, ডেলিভারি, আমদানি ইত্যাদি বিষয়ে পাঠানো তথ্য যাচাই করবে ভোক্তা অধিদপ্তর টিমের সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার যৌথ টিম।
এছাড়া সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাপ্লাই অর্ডারের (এসও) মধ্যে তেলের দাম উল্লেখ থাকতে হবে, আগের যে এসও সরবরাহ করা হয়েছে তার ডেলিভারি ২৪ মার্চের মধ্যে দিতে হবে।
পাশাপাশি তেল দেশের বাইরে যাচ্ছে কিনা তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।