ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দিদারসে চলছে হামকা আল আমিনের মাদক ব্যবসা

মোহাম্মদ সোহেল রানা, স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগরীতে প্রতিদিনই বাড়ছে মাদকে ব্যবসা। ঝুকে পড়ছে সাধারণ মানুষসহ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রিরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে দেখা যায়, মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক ব্যবসা চলছে দেদারসে। জানা যায়, কক্সবাজার থেকে কৌশলে মাদক দ্রব্য এনে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন কলোনী, আলীনগর, রুবি গেইট, টেক্সটাইল, শহীদনগর, ওয়াজেদিয়া, নয়াহাট, বালুছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক বেচা-কেনার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে।  

অনুসন্ধানে প্রতিবেদকের কাছে এই নেটওয়ার্কে  মূল হোতা কয়েকজনের নাম আসে যারা হলেন, হামকা আল আমিনের বোন জামাই বাপ্পি, মো: সেলিম প্রকাস কুত্তা সেলিম, মো: ভুট্টো  প্রকাশ গনেশ ভুট্টো, মো: সুমন প্রকাশ জুমকা সুমন ও মো : রুবেল প্রকাশ ড্রাম রুবেল। মাদক ডেলিভার দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় একটা হাইস কার ও দুইটি মোটরসাইকেল। 

প্রায় ১০ বছর আগে চট্টগ্রাম শহর দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করে ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রুপের’ সদস্যরা। গলায় গামছা পেঁচিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে দুর্বল করে ছিনতাই করা ছিল তাদের কৌশল। ২০১৭ সালে হামকা গ্রুপের মূল নেতা নুর আলম গ্রেফতারের পর দšিডত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। এরপর হামকা গ্রুপ ভেঙে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সেই গ্রুপের কয়েকজন মিলে গড়ে তোলা আরেকটি ছিনতাইকারী দলের পাঁচ সদস্যকে ২০২০ সেলের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

হামকা গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছিনতাইয়ের দায়ে কয়েকবার আল আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ছিনতাইয়ে গ্রেফতারের ঝুঁকি বেশি, মাদকে ঝুঁকি কম-এমন চিন্তাভাবনা থেকে আল আমিন ২০১৪ সালে হামকা গ্রুপ থেকে নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে। সে ইয়াবা বিক্রিতে জড়ায়। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে নগরীতে বিক্রি শুরু করে। 

আল আমিনের বিরুদ্ধে বায়েজিদসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ   ১৭টি মামলা রয়েছে। 

স্থানীয়রা বলেন, নগরীর আমিন কলোনির স্থানীয় শিক্ষিত সমাজের কিছু কিশোর যখন আল আমিনকে মাদক বিক্রির বাঁধা প্রধান করে সেই সময় আল আমিন ও তার পালিতো কিশোর গ্যাং তাদেরকে মারধর করতে তেড়ে আসে।

হিলভিউ আবাসিক এলাকা ১নং রোড এর বাসিন্দারার জানায়, তাদের  বিরুদ্ধে কথা বলাটাও যেন দুঃসময় ডেকে আনা গত ২৫শে ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যায় হিলভিউ আবাসিক এলাকা ১নং রোডে হামকা আল আমিন নমে এক মাদক ব্যবসায়ী  তার কিশোর গ্যাং ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তাার পাশে একটি টঙের দোকান ভাঙচুর করে ।তারা কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এলাকায় প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। 

 

স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায়, আমিন কলোনির, আমিন রেলগেট, ফুলবাগান ও তার আসপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং গুলো হাতে প্রায় কয়েক বছরে ৩ জন নিহত হয়েছে। চলিত  বছরের ৬ ডিসেম্বরে বুধবার রাতে  আমিন রেলগেট এলাকায় এলাকার দোকানপাট থেকে চাঁদা ও আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে কিশোর গ্যাং করিম গ্রুপ এর  ছুরি আঘাতে অন্য এক কিশোর গ্যাং লিডার এর নাম প্রকাশ  সাগর ওরফে  পিসলা সাগর । 

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উওর দৈনিক সাঙ্গু কে বলেন, আমরা মাদক জিরো টলারেন্স আনার সর্বোচ্চ অভিযান পরিচালনা করছি। হামকা আল আমিনের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য আছে। মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনতে পারব ।

বায়েজীদ অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমি বায়জীদ বোস্তামী থানায় পোস্টিং হয়েছি ডিসেম্বর মাসে তাই হামকা আল আমিন এর বিষয় তথ্য বেশি না থাকায় আইনের আওতায় আনতে একটু সময় লাগছে কিন্তু বায়জীদ বোস্তামী থানা অধীনে হামকা আল আমিন সহ যতগুলো মাদক ব্যবসায়ী আছে মাদক  জিরো টলারেন্স করার ক্ষেত্রে  তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারবো বলে আশাবাদ।