অতীতে যারা জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহে এখনও তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আগামীকাল ১৭ আগস্ট দেশ জুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে আবারও দেশকে অস্থিরতা করার চেষ্টা করছে। জঙ্গি দমনে র্যাবের কোনো তৎপরতা আছে কি না জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘র্যাবের মূল ম্যান্ডেট হলো জঙ্গি গ্রেপ্তার করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনসহ মোট নয়টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি ও পরবর্তীতে হরকাতুল জিহাদ। এই সংগঠনগুলোর তৎপরতা পূর্বের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আপনারা জানেন গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতির সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমরা যে তথ্য পেয়েছিলাম জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল৷ এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছেন।
জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করতে চায় তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার আল হিন্দাল ফিল শারকিয়াতে যুক্ত হয়ে ছিল। এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এই সংগঠনের আমিরসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।’
আল মঈন আরও বলেন, ‘এই সময়ে আগে জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের ধরতে র্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। তবে দেশে হামলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে কি না সেটি নিয়ে র্যাবের গোয়েন্দারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে।