দেশের অর্থনীতি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে এর চেয়ে আর খারাপ হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপ্তি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদহার বাড়ানোর আগ্রাসী কার্যক্রম এবং চীনের কোভিড পরিস্থিতি। এ তিন চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, তাহলেও দেশের অর্থনীতির বর্তমান যে অবস্থা আছে, তার চেয়ে খারাপ হবে না। এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে , এর চেয়ে আর খারাপ হবে না। আমাদের অর্থনীতির যে সহনশীলতা, সেটি অত্যন্ত গভীর। যেকোনো একটি ধাক্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতি পড়ে যাবে না।
নতুন মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিনটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়ে গভর্নর বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। মুদ্রানীতি প্রণয়নে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। মুদ্রানীতি প্রণয়নে উন্নয়ন সহযোগী, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক গভর্নরদের মতামত নেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যত দ্রুত এ তিন চ্যালেঞ্জের সমাধান হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতিও তত দ্রুত বাউন্স করবে। স্বল্পমেয়াদে আমাদের দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে। আমরা আশা করি, ভালো দিন শিগগিরই আসবে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে আলোচনায় ছিল ব্যাংক খাতের নানা অব্যবস্থাপনা। বিশেষ গ্রুপ ও ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সহায়তার বিষয়টিও ঘুরেফিরে এসেছে আলোচনায়। এছাড়া ডলার সংকটের পাশাপাশি তারল্যসংকট, আমানত কমে যাওয়া নিয়েও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সামনে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সাংবাদিকেরা।
আপনি যোগ দিয়ে বলেছিলেন, ডলারের সংকট জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখনো সংকট কাটেনি। এ সংকট কবে কাটবে এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমি যোগ দেওয়ার পর আমদানি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশি দামে ঋণপত্র যেন খোলা না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব পদক্ষেপের ফলে আমদানি কমেছে। এখন প্রতি মাসে আমদানিতে যে খরচ হচ্ছে, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী তার চেয়ে বেশি। তবে আগের আমদানি দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ জন্য ডলারের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এছাড়া রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ , যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ বৃদ্ধি ও চীনের করোনার ওপর নির্ভর করছে ডলার - সংকট সুরাহার বিষয়টি।
ডলার সংকটে মুনাফা করা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কেন তা তুলে নেওয়া হলো জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ডলার সংকটের সুযোগ নিয়ে ১২ টি ব্যাংক ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এসব ব্যাংকের সেই মুনাফার অর্ধেক সামাজিক দায়বদ্ধতা ( সিএসআর ) খাতে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশিদের বাড়ি, হোটেল কেনা নিয়ে প্রশ্ন তুললে গভর্নর বলেন, 'বেশ কিছু পণ্যে আমদানি রপ্তানিতে দাম কমবেশি দেখানো হচ্ছে। হুন্ডিতে অর্থ যাচ্ছে। তা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব টাকায় বিদেশে কেউ কিছু করছে কি না, আমরা জানি না। কোটি টাকা জমা আছে। ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ব্যাংকটিতে টাকা রেখেছেন। তাই এই ব্যাংক যদি সমস্যায় পড়ে ,তাহলে সব আমানতকারী সমস্যায় পড়বেন। আমানতকারীরা জীবনে যা সঞ্চয় করেছেন, তা ব্যাংকটিতে জমা রেখেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। দেশের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। এই বিবেচনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি, এটা অব্যাহত থাকবে।
গভর্নর বলেন, ইসলামী ব্যাংক বৃহত্তম ব্যাংক। এর ভিত্তি খুবই শক্তিশালী। ইসলামি ধারার ব্যাংকের ঋণে ঝুঁকিও কম থাকে। ব্যাংকটিকে যে টাকা ধার দেওয়া হয়েছিল, তা পরদিন ফেরত দিয়েছে। এটা পৃথিবীর সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চর্চা। যখন আর কোনো উপায় না থাকে, তখন ব্যাংককে সহায়তা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ইসলামি ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক দুই ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসানো হয়েছে। তাদের বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকে পরিদর্শন হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা নিতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। অতীতে কী হয়েছে, তার দায় আমার ওপরও নিশ্চয়ই পড়ে। তবে অতীতের মতো হবে না, এটা নিশ্চয়ই দেখবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, আমরা প্রত্যেক ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছি, যাঁরা ভালো ব্যবসা করবেন, সীমার মধ্যে তাঁদের ঋণ দেবেন। তাঁরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন, দেশের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবেন। যতক্ষণ তিনি নিয়মের মধ্যে থাকবেন, আমরা তাঁর সঙ্গে আছি। নিয়ম ভাঙলে আমরা তাঁর সঙ্গে নেই।
এরপরও সাংবাদিকেরা ইসলামী ব্যাংক নিয়ে প্রশ্ন করলে গভর্নর বলেন, আমি ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে যত কথা বলেছি, মনে হয় না আগের কোনো গভর্নর এত কথা বলেছেন।
ব্যাংকের তারল্যসংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, দুই মাস আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটা কথা প্রচার হয়েছে। ডলার সংকট হয়েছে, ব্যাংকেও টাকা নেই। তখন মানুষ লাইন দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছে। তখন সব এমডিদের বলা হয়েছে, যাঁরা টাকা তুলতে আসবেন, তাঁদের দিয়ে দিতে। আমরা দেখতে চাই কত টাকা তোলা হয়। কেউ টাকা তুলতে গিয়ে ফেরত আসেননি। তাঁরা টাকা উঠিয়ে নিয়ে বাসায় রেখেছেন। এখন আবার তা ব্যাংকে আসছে।
গভর্নর বলেন, আমরা যখন বললাম ব্যাংকে টাকা আছে। এরপর কয়েকটি পত্রিকায় এল, ইসলামি ধারার ব্যাংক বেনামি ঋণ দিচ্ছে। অনেক টাকা বের করে নিয়ে গেছে। তখন ইসলামি ধারার ব্যাংকে টাকা উত্তোলন শুরু হলো। এ জন্য ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন এসব ব্যাংকে স্থিতিশীলতা এসেছে। নানা উদ্যোগের ফলে আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের পরিস্থিতি আগের ধারাই ফিরে আসবে।
ঘুরেফিরে ইসলামী ব্যাংক প্রসঙ্গ ইসলামী ব্যাংক থেকে বেনামে ঋণ বের হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা না নিয়ে নীতি সহায়তা দিচ্ছে কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ইসলামী ব্যাংকে সাধারণ মানুষের ১ লাখ ৫১ হাজার। গত বছরে আমানত ৮ শতাংশ বেড়েছে, এর পুরোটাই বেসরকারি খাতের। সরকারি খাতের আমানত কমে গেছে। কারণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকের জমা টাকা তুলে নিয়ে আমদানি খরচ মেটাচ্ছে।
বেশকিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক নিজেদের নির্ধারিত সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণেও ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় রেপোর সুদহার বৃদ্ধির মাধ্যমে তারল্য পরিস্থিতিকে আরো বেশি চাপে ফেলা হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এসব তহবিলের সুদহার দেড় থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। আমরা চাই ব্যাংকগুলো কৃষি, সিএসএমই, রপ্তানিমুখী শিল্পসহ উৎপাদনমুখী বিভিন্ন শিল্পের জন্য গঠিত তহবিল থেকে অর্থ নিক। এর মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে। সুদহার বাড়ানোর কারণে ব্যাংকগুলো রেপো থেকে ধার নেয়ায় নিরুৎসাহিত হবে। ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়ানো হলে দেশের রপ্তানি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে এখনই ঋণের সর্বোচ্চ সুদের ক্যাপ তুলে নেয়া হবে না। তবে ধীরে ধীরে ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোয় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার যেসব আমানত ছিল, সেগুলো কমে এসেছে। বিপিসি, পেট্রোবাংলা, বিপিডিবিসহ সরকারি বড় সংস্থাগুলোর আমদানি দায় পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভের প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। গত অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে মুদ্রাবাজার থেকে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে এসেছে। এ কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য চাপ তৈরি হয়েছে। চাপ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নেয়ার জন্য দেশী-বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার হয়েছে। এ কারণে কিছু মানুষ ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়েছিল। ওই সময় ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছিলাম। বলেছিলাম, কোনো মানুষ ব্যাংকে এসে যেন টাকা ছাড়া ফেরত না যায়। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়েছে। আপনারা জানেন, টাকা তুলে ঘরে নিয়ে যাওয়ার ফল কী হয়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য সংকটের চাপের মধ্যেও নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত এ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও দেশে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি এখন ৮ শতাংশের ঘরে। সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনে নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারকে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় রেকর্ড ৮৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকে। ইতিহাস সৃষ্টি করা এ আমদানি দায় দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যকে নাজুক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। আমদানি দায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান সরকারি-বেসরকারি বিদেশী ঋণ। গত অর্থবছর শেষে সরকারের চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানির নতুন ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোও চাহিদা অনুযায়ী এলসি খোলা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাপক কড়াকড়ি সত্ত্বেও প্রত্যাশা অনুযায়ী আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২) আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এ হিসেবে আমদানি ব্যয় কমেছে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থবছর শেষে আমদানি ব্যয় ৮০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেটি হলে চলতি অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থবছর শেষে এ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে মুদ্রানীতিতে আভাস দেয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সরকারের চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছর শেষে এ ঘাটতি ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে থামবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ধারাবাহিকভাবে পতন হচ্ছে। ৮ জানুয়ারি রিজার্ভের গ্রস পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। তবে চলতি অর্থবছর শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।