নগরীর নতুন ব্রীজ মোড় দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ও ব্যস্ততম এই মোড়কে ঘিরে নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছে হকাররা।রাস্তার ৩০-৪০ শাতাংশ জায়গা দখল করে ফুটফাত তৈরি।নগরীর বিভিন্ন স্থানে হকার ফুটপাত দখল করে বসলেও নতুন ব্রীজ দেখা যাচ্ছে এর ভিন্ন চিত্র।রাস্তার অধিকাংশ দখল করে ফলের দোকান ও সবজির ভ্যান সহ নানা রকমের দোকান বসিয়েছেন হকাররা।ফলে যান চলাচলে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।পূর্ব পাশের ফুটপাত দখল করে বেচাকেনা করছেন হকার।এরফলে পথচারী চলাচলের জায়গায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।হকারদের দখলে থাকায় নতুন ব্রীজে পথচারীদের হাঁটাচলায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্তানীয় সূত্রে যানা যায় ,দোকান অনুপাতে বড় অঙ্কের চাঁদা নেয় চাক্তাই ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) সোহলে রানার নামে নিউ মার্কেট যাওয়ার রাস্তায় ক্যাশিয়ার কামাল,বদ্দারহাট যাওয়ার রাস্তা দখল করে ক্যাশিয়ার সেকান্দার (প্রকাশ কানা সেকান্দার,)পূর্ব পাশে বক্করের ভাই ইমরান।প্রতি দোকানদারের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০/২৫০ টাকা করে নেয় লাইন খরচ ও ফাঁড়ির নামে কামাল,সেকান্দার,বক্করের ভাই ইমরান,এই টাকা তুলেন এই তিন ক্যাশিয়ার।প্রশাসনের পালা শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদেরও অনুসারীদেরকে ও চাঁদা দেয় দোকানদাররা।
নগরীর নতুন ব্রীজ মোড়ে রাস্তার উপর ঝাল মুড়ি ও পিয়াজু বিক্রি করেন এক যুবক।শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় ঝাল মুড়ি খেতে খেতে কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিক্রেতার সাথে।তিনি জানান,আজ ১ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি মামা।আর রাস্তায় দোকান বসালে খরচতো আছেই ।এই ধরেন সব মিলিয়ে প্রতিদিন ২০০/২৫০ টাকা দিতে হয়।খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন পুলিশের নাম করে ২০০/২৫০টাকা করে নিয়ে যায় এক সোর্স।এরপর চাক্তাই ফাঁড়ির ক্যাশিয়ারকে দিতে হয়।ব্যবসায় এটাই হল সারাদিনের খরচ।
এ বিষয়ে চাক্তাই ব্রিজের রাস্তার উপর মাছ বিক্রি করা এক দোকানদারের সাথে কথা হয় , তবে তার দেওয়া চাঁদার পরিমান ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ীর প্রায় দ্বিগুণ। তিনি জানান,আমার প্রতিদিন ২০০/৪০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।যার অর্ধেক দিতে হয়। একজন লোক এসে প্রতিদিন টাকা নিয়ে যায় আমাদের কাছ থেকে।বেচা-কেনা থাকুক না থাকুক দোকান বসালে টাকা দিতেই হয়।
দোকানদারদের দেয়া এ অভিযোগ আসলে কতটুকু সত্য তা জানতে কথা হয় বাকলিয়া থানার চাক্তাই ফাঁড়ির আইসি সোহেল রানার সাথে,তিনি জানান, আমার নাম করে যদি কেউ টাকা তুলে এটা কি আমার দোষ।এখন থেকে যে আমার নাম করে টাকা তুলতে যাবে,তাকে যেন সবাই বেঁধে রাখনে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমরা অভিযান দিয়ে রাস্তার উপর বসা হকার দোকান বন্ধ করে দেই,কিন্ত দেখা যায় কিছুদিন পর আবারও বসে হকাররা।রাস্তার উপরে হকার বসেছে তাই পথচারী চলাচলের সমস্যা হলে অভিযান পরিচারনা করা হবে।
চসিক'র সচিব আবুল হাশেম'র সাথে এই বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে কল করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।