নোয়াখালী সুবর্ণচর জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত ও ঘরে ডুকে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চর জুবিলী দক্ষিন ব্যাগ্যা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- পশ্চিম চররজব্বর গ্রামের জবিউল হকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), তার পুত্র আব্দুর রহিমের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩০), জসিমের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩৪) এবং একই গ্রামের মনির আহমেদের পুত্র মিরাজ (১৯)।
ভুক্তভোগী আনোয়ারা বলেন, দক্ষিন বাগ্যা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র খোকন (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে কোর্টেও মামলা চলমান। ঘটনার দিন জবিউল হকসহ সকলে কোর্টের হাজিরা দিতে যান সকাল সাড়ে ১০টার সময়। এ সুযোগে মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র বেলাল হোসেনের নির্দেশে তার বড় ভাই খোকন, ছোট ভাই সফিক, লিটন, লিটনের পুত্র রাসেল (৩০), বেলাল হোসেনের পুত্র হেলাল (৩০) ও জাহাঙ্গীর’সহ (২৭) অজ্ঞাত ৬/৭ জনের ভাড়াটিয়া লোকজন ঐ জায়গা দখলের চেষ্টা করলে তাসলিমা আক্তার বাঁধা দেয়। এতো খোকন ও তার সাঙ্গপাঙ্গ তাসলিমার ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং ঘরে ডুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাসলিমা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তার শ্বাশুড়ি আনোয়ারাকে ফোন দিলে তিনি ঘটনাস্থলে তাকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় তাকে দেখা মাত্রই অভিযুক্তরা আনোয়ারা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। তার শোর চিৎকারে জসিমের স্ত্রী শিরিন প্রতিবেশী মনির আহমেদের পুত্র মিরাজ এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদরকে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আনোয়ারা বেগমের অবস্থা অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
অভিযুক্ত খোকনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, তারা দীর্ঘদিন আমাদের জয়গা দখল করার পায়তারা করে আসছে। এ নিয়ে গতকাল কথা কাটাকাটি হলে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। দুপক্ষের লোকজন হাসপাতালে আছে।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে