পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেহেতু জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, সেহেতু মার্শাল ল জারি এড়াতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটিই বলছে জিও নিউজ।
পিটিশন দাখিলকারী অ্যাডভোকেট আদনান ইকবাল বলেন, রাজনীতির ইতি ঘটলে প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানকে সরাতে পারেন কি না, পিটিশনে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে কি-না, সেই সংশয়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ।
সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।
ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, সেনাপ্রধানকে সরানোর বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি, এর কোনো সম্ভাবনাও নেই। সংবিধান অনুসারে আইন মেনে আমি নিজের কর্তব্য পালন করব।
সাংবাদিকরা আস্থা ভোটের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই ইমরান জানান, যে কোনো মূল্যেই হোক, পরাজয় তিনি মেনে নেবেন না। তিনি বলেন, আমি বিদেশি ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। তিনি আরও জানান, আগেও তিনি পরাজয় মেনে নেননি, এবারও নেবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেব।
অন্যদিকে, শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর গভীর রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার। এর আগে ভোট শুরু হতে দেরি হওয়ায় স্পিকারের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি রোববার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ডাক দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট সেটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়ায় অনাস্থা ভোট সামনে এসে পড়ে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। দিনভর চলে নাটকীয়তা।