বন ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়েছে ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান সংস্থারটির চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান। এ সময় একটি স্মারকলিপিও দেন তারা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নির্বাহী তাসবীন শাকিব, কমপ্লাইয়েন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর ইফতিকার মাহামুদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তাদের দাবিগুলো হলো-বন্যপ্রাণী আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার স্বার্থে বন অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রামে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা যুক্ত করা কিংবা স্বতন্ত্র বন্যপ্রাণী অধিদপ্তর গঠন করা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মূলনীতিসমূহের আলোকে দেশের সাফারি পার্কগুলোর ব্যবস্থাপনার রূপরেখা ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং বিশেষায়িত বন্যপ্রাণী গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা, বন্যপ্রাণী পাচার ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী অপরাধ রোধে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটকে স্বয়ংসম্পূর্ণ শক্তিশালী করা, বন্যপ্রাণী অপসারণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সাথে স্বেচ্ছাসেবীদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করা, বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা-২০২১ এ সাপকে অন্তর্ভুক্ত করে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা, বন্যপ্রাণীর জন্য দেশের বিচ্ছিন্ন বনগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপদ করিডোর নির্মাণ করা, বিগত ষোল বছরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, প্রকল্পের নামে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার যথাযথ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা।
উপদেষ্টা তাদের সবগুলো দাবি শুনেন এবং প্রতিটি দাবি আলাদাভাবে আলোচনা করেন। পরিবেশবাদী সকলকে নিয়ে দেশের পরিবেশরক্ষায় কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা এবং সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় আমরা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছি তা বাংলাদেশের বন ও বন্যপ্রাণী নিয়ে সচেতন প্রতিটি মানুষের দাবি। যা আমাদের মাধ্যমে উঠে এসেছে বলে মনে করি। দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের বন এবং বন্যপ্রাণী সুরক্ষিত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।