ভিন্ন রকম ভোটের আমেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে। আওয়ামী লীগের সাংসদের সাথে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্ধিতার এই আসনে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্রের বাইরেও ছিলো মানুষের ভীড়-জটলা। এই
আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আসা কলারছড়ি প্রতীকের আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে নৌকার প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের। একই দৃশ্য দেখা গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনেও। দু'টি আসনেই হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনকে চাঙ্গা করেছেন।
রোববার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে দুইটা পর্যন্ত নামিরনগর উপজেলার ফান্দাউক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট কাষ্ট হয় বলে কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার মোখলেছুর রহমান জানান।কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৪২২ জন। স্থানীয় ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জানান, 'আমাদের এখানে ৭০ ভাগ ভোট কাষ্ট হতে পারে।' উপজেলার গুনিয়াউক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ভোট কাষ্ট হয় প্রায় দেড় হাজারের মতো। কেন্দ্রটির মোট ভোটার সংখ্যা চার হাজার ৩২৩ জন। এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা শতবর্ষী আলী রাজা চৌধুরী বলেন, 'এই জীবনে আর হয়তো ভোট দিতে পারবো না। তাই ভোট দিতে এসেছি।' তিনি সবার দোয়া কামনা করেন। এই কেন্দ্রে আরো কয়েকজন অধিক বয়সীকে ভোট দিতে দেখা গেছে। নূরপুর লাখাজুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও সকালে নারী ভোটারের লম্বা সারি দেখা গেছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে ভোটারের উপস্থিতি। তবে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। তবে কেন্দ্র দু'টির বাইরে ছিলো সরগরম পরিবেশ। এসব কেন্দ্রের বাইরে ভোটের দিনের জন্যে অস্থায়ী দোকানপাটও খোলা হয়। এই আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের মো. মঈন উদ্দিন মঈন, ঈগল প্রতীকের জিয়াউল হক মৃধার লড়াইয়ে সারা দিয়েছে ভোটাররা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের ছাড় দেয়া আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূইয়া লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন।