রাশিয়ার আক্রমণে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের শুধু অবকাঠামোগত ক্ষতিই হয়েছে ১২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এর বাইরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, জিডিপি’তে ধসের মতো বিষয়গুলো ধরলে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক অনেক বেশি। ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রথম উপমন্ত্রী ডেনিস কুডিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরুর দিন থেকেই আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব রাখছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান কৌশল দুটি। প্রথমত, সরাসরি এককালীন ক্ষতি। যেমন- রাশিয়ার হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের রাস্তা, সেতু, হাসপাতাল, স্কুলের মতো অবকাঠামোগুলো মেরামত করতে কত খরচ হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো হারানো জিডিপি।
কুডিন বলেন, যেসব শহরে সরাসরি সহিংসতা হচ্ছে, সেখানে অর্থনৈতিক কার্যক্রম তিন-চতুর্থাংশ কমে গেছে, ৭৫ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। কেউ পালাচ্ছে, কেউ শত্রুতা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে। প্রতি সেকেন্ডে ইউক্রেনের বাণিজ্য ৫০ শতাংশ অর্থনৈতিক গতিশীলতা হারাচ্ছে।
পূর্ব ইউক্রেনের বেশিরভাগ ধাতু কারখানাগুলো যুদ্ধের কারণে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। যার অর্থ, দেশটির অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখা বিভিন্ন ধরনের ধাতু রপ্তানিও কমে গেছে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সমুদ্রপথ, বিশেষ করে কৃষ্ণসাগর অবরুদ্ধ করে রাখায় দেশটি থেকে তেল, গম, ভুট্টা রপ্তানি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ডেনিস কুডিনের ভাষ্যমতে, হিসাবের প্রথম পদ্ধতি অনুসারে, অর্থাৎ রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের সরাসরি অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। তবে এর পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে।