লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিন শিক্ষার্থী হত্যা ও বিস্ফোরকসহ চার মামলায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য কামরুল সরকারকে গ্রেপ্তার করছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সদর উপজেলার চররমনী মোহন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামরুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার রাতে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তার কামরুল ইসলাম সরকার সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, কামরুল সরকারকে তিন শিক্ষার্থী হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলাসহ চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এইসব মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সারা দেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্বরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ছাত্র আন্দোলনকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের অপসারণকৃত চেয়ারম্যান এ কেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছুড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ সময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫০০’র বেশি ছাত্র-জনতা।
এ ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। এসব ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল গ্রেপ্তার কামরুল সরকার।
বায়ান্ন/এসএ