শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আন্দোলন বহিরাগতের ইন্ধনে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমদ। আজ দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন- ‘খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী হয়তো বিভ্রান্ত হয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমি যতটুকু জেনেছি; এখানে অনেক বহিরাগত এসে শামিল হয়েছে। বহিরাগতরা তাদের ইন্ধন দিচ্ছে। আজকের যে ঘটনা, আমার কাছে তথ্য আছে অনেক বহিরাগত এখানে ঢুকেছে। রাতের বেলাও তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ওদের সাহায্য করেছে। বেশির ভাগ ঘটনাই ঘটাচ্ছে বহিরাগতরা। খুব দু:খজনক এ ঘটনা।’
ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ শাবিকে বাংলাদেশের একটি অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করে বলেন- ‘শিক্ষা গবেষণা ও অবকাঠামো সব দিক থেকে আমরা সবার উপরে ছিলাম। যে কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর কার্যক্রমকে ব্যাহত করার জন্য একটা চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে।’ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি শিক্ষার্থীদের আহবান জানিয়ে বলেন- ‘আমরা তোমাদের পাশে আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম যাতে স্বাভাবিক থাকে সেটি আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বহিরাগতদের ইন্ধনে হঠকারী কোনো সিদ্বান্ত না নিতে ভিসি শিক্ষার্থীদের আহবান জানান। নতুবা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানান তিনি।’
করোনা পরিস্থিতি সহ নানা দিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ভিসি বলেন- ‘সবার স্বাস্থ্য বিবেচনা করেই বিশ্ববিদ্যলয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’ রোববারের সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি উল্লেখ করে ভিসি বলেন- ‘যখন ঘটনাটি শেষ হতে যাচ্ছিলো তখন বহিরাগতদের ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তিন ঘন্টা ধরে অবস্থান করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বহিরাগতরা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আন্দোলন ও সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছেন ভিসি। বলেন- আমরা চাই, উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ও পরীক্ষায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে।