মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দুটি রিসোর্টে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানকালে অবাঞ্ছিত ১১ নারী ও ১০ পুরুষকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর রাতে শ্রীমঙ্গলের ডলুছড়া এলাকার গ্রিণ প্যালেস টি রিসোর্ট এবং টংথাই রিসোর্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটককৃতরা হলো- শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামের মীর মোহাম্মদ আবদুর রউফ, একই থানার সুরভীপাড়ার আয়শা বেগম, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার জয়লালচান গ্রামের জাবেদ মিয়া ও উলুকান্দির ফয়সাল মিয়া, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ধাপা ইদরাপুল গ্রামের নুসরাত জাহান ইশা, নরসিংদীর শিবপুর থানার কুমরাদি গ্রামের আফছানা, পাবনার সুজানগর থানার সুমি আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কুলাশিলের সানজিদা আক্তার, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কোয়াচপুরের স্বপন সূত্রধর, ঢাকার হাজারীবাগ থানার হাজারিবাগের ফাহিম ইসলাম, একই থানার গনকটলি লেনের তানভীর আহমদ ও এনায়েতগঞ্জের সঞ্জয় রায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোড়াগাঁও’র রাহাত সিকদার, মৌলভীবাজার সদরের আমতৈল গ্রামের আবদুল্লাহ, কুলাউড়ার আকিলপুরের আবদুল্লাহ, সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার চরভেরা গ্রামের ইসরাত জাহান মিতু, রাঙ্গামাটি জেলার লংগুদু করলাছড়ি গ্রামের জান্নাত আক্তার, চট্টগ্রারে চকরিয়া থানার খারবাং গ্রামের তাসনিম আক্তার, বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানার কাউনিয়া গ্রামের রাত্রি আক্তার ও পাখি আক্তার, খাগড়াছড়ি জেলার ফটিকছড়ি থানার ফটিকছড়ি গ্রামের তাসফিয়া।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর মেজবা, বিজিবির মেজর এমরান ও শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত দাসের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। মূলত নারায়নগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে ধরার জন্য অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। তবে শামীম ওসমানকে পাওয়া না গেলেও রিসোর্ট দুটি থেকে অবাঞ্ছিত ২১ নারী-পুরুষ আটক হয়।
এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে গ্রিণ প্যালেস টি রিসোর্ট ও টংথাই রিসোর্টের মালিকরা এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এই ব্যবসা চালানো হতো।
শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত দাস জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।