রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যার মূল কারণ হিসেবে সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে ধরা হচ্ছে। ডজনপ্রতি ডিমের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে। জনগণের জন্য সাশ্রয়ী দামে ডিম সুলভ করতে সরকার আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে, যা বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
সরকারের আদেশ অনুযায়ী, আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে, যা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ ও দাম কমার সুনির্দিষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বলেন, "সরকারি উদ্যোগের কারণে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে, ফলে দাম কমেছে। আজ পাইকারি বাজারে প্রতি শত ডিম ১ হাজার ১০১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গতকাল এর দাম ছিল ১ হাজার ১৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকার মধ্যে।"
ঢাকার বাসিন্দা রায়হান সাদিক খিলগাঁও তালতলা বাজার থেকে ১৫০ টাকায় এক ডজন ফার্মের ডিম কিনেছেন, যা দুই দিন আগেও ১৮০ টাকায় ছিল। তিনি সরকারের তদারকি কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানান, যাতে নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি নিশ্চিত করা যায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি)-এর সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার জানান, শেওড়াপাড়া ও তালতলা কাঁচাবাজারে তিনি অভিযান চালিয়ে দেখেছেন যে ডিমের দাম প্রায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের কাছাকাছি। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০.৫৮ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১১.০১ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১.৮৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে।
করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে, যা বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এই উদ্যোগের সমন্বয় করছে, এবং প্রাথমিকভাবে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু হলেও এর প্রভাব সারাদেশে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস