সৈয়দপুর রেলওয়ের জমি দখলের মহোৎসবে মেতেছে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। প্রতিবছর রেল ভর্তূকি দিয়ে রেলকে সময়োপযোগী করার চেষ্টা করলেও কতিপয় দূর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তাগণ রেলের জমি দখলের সিন্ডিকেটের সাথে নানানভাবে আঁতাত করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। লোক দেখানো মামলা করে মামলায় জিতলেও সেই জমির দখল নিতে আসছে না তারা। অবৈধ দখলদারদের সাথে বিপুল অংকের ঘুষের লেনদেনে দখল পাচ্ছে না রেল। সৈয়দপুর শহরে রেলের কুখ্যাত ভূমিদস্যুরা সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুবাদে তারা প্রভাব খাটিয়ে রেল কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজোস করছেন। এতে রেল প্রতিনয়ত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান ভূসম্পদ। রেলের বাংলো, রেলের কোয়ার্টার, ফাঁকা জমি এমনকি রেলের কেপিআই জমিও তারা অবাধে দখল করে চলেছে।
বিষয়গুলি নিয়ে একাধিক সংবাদপত্র ও নিউজ চ্যানেলে সংবাদ পরিবেশিত হলে সেই সমস্ত রেল কর্মকর্তা তাদের দোসর ভূমিদস্যুদের পরামর্শে লোক দেখানো কিছু নীরিহ ব্যক্তিদের নামে সার্টিফিকেট মামলা করে তাদের নামে ওয়ারেন্ট জারী করে মূল ভূমিদস্যুদের রক্ষা করে চলেছে। উপরন্ত দূদকের নামে শহরে মাইকিং করে গোপনে চলছে মামলা না করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের লেনদেন। অসহায় কিছু মানুষ যাদের থাকার কোন জায়গা না থাকায় রেলের জমিতে বসবাস করছেন সেইসব নীরিহ মানুষদের উপর চলছে তাদের লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান এবং মামলা। অথচ রেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জমি দখল করে যে সমস্ত অবৈধ বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে তাদের সাথেই রয়েছে খোদ রেল কর্মকতাদের দারুন সখ্যতা, তারা তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ দূরে থাক কৌশলে তাদের রক্ষা করে চলেছেন।
রেলের জমি অবৈধ দখলের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে রেল সার্টিফিকেট মামলা করেছে এবং মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়েছে তার হলেন ১) ফয়েজ আহমেদ, বাঙ্গালীপুর, এক লক্ষ ৫ হাজার টাকা, ২) ইমরান খান, সাদ্দাম মোড় ৩ লক্ষ টাকা, ৩) সিরাজুল ইসলাম, ডাক বাংলো রোড, ১২ লক্ষ টাকা ৪) শাহানাজ আলম, বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা, ৫) নাসবিন নাহিদ, গফুর সর্দার রোড, ৮ লক্ষ টাকা, ৬) ভলু মামুদ, গোলাহাট ৫ লক্ষ টাকা, ৭) আব্দুর রহিম, নতুনবাবুপাড়া, ৪ লক্ষ টাকা, ৮) মোজাম্মেল হোসেন, নতুন বাবুপাড়া, ৭ লক্ষ টাকা, উক্ত আদালত ডিসি অফিসের তিন তলায় অবস্থিত সেখানে গিয়ে আরো জানা যায় আয়কর মামলার আসামী জনাব সখেন কুমার ঘোষ, পালোয়ান সুইটমিট এর নামে ৩৬ লক্ষ টাকার মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়েছে। অথচ সৈয়দপুরের কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোকছেদুল মোমিন, বিউটি সাইকেল ষ্টোরের আলতাব হোসেন, আল ফারুক একাডেমি, লায়ন্স স্কুল, সরকার ট্রেডার্স, মতিয়ার রহমান দুলসহ একাধিক বিশিষ্ট বড় বড় ব্যবসায়ী যারা প্রতিনিয়ত রেলের জমিতে বহুতল ভবন নির্মানকারী তাদের বিরুদ্ধে রেল কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করে নাই বর্তমানেও উক্ত সিন্ডিকেটের দুটি বহুতল ভবন নির্মান কাজ চলছে জিকরুল হক রোডে, গোপন সূত্রে জানা যায় তারা পৌরসভার মেয়র থেকে শুরু করে রেলের বিভাগীয় ভূসম্পদ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দখলকারীরা বলেন এই সরকারের প্রশাসন আমাদের কিছুই করতে পারবে না আমরা আঁট ঘাট বেঁধেই কাজ চালাচ্ছি।