খুচরা বাজারে এক মাস আগে ডিমের হালি ছিল ৫০ টাকা। তবে মাসের ব্যবধানে ডিমের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। প্রতিটিতে আড়াই টাকা কমে বাজারে এখন ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা ১৫০ টাকায় ঠেকেছিল।
রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের ডিম বিক্রেতা আতাউল্লাহ জানান, গত দুই সপ্তাহ ডিমের দাম কমেছে। বাজারে ডিমের সংকট নেই, সরবরাহও আছে প্রচুর।
ঢাকার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত মৌসুম চলে আসায় ডিমের চাহিদা কিছুটা কমেছে। চাহিদা কম থাকায় ডিমের দামও কমেছে। তাছাড়া বিগত সময়ে ডিমের দাম বেশি থাকায় খামারিরা বেশি করে মুরগি পালন করেছেন। বাজারে এ জন্য সরবরাহও ভালো।
তেজগাঁও এলাকায় ডিমের আড়তের পাইকারি বিক্রেতা আসলাম কিবরিয়া জানান, প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিমের পাইকারি দাম ১১০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ১০০ ডিমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কমেছে। এখন ডিমের দাম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে ডিম উৎপাদন খরচ অনেক বাড়তি।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে। ঢাকায় বাজারভেদে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা হালি। যা গত মাসে ছিল ৪৭ থেকে ৫০ টাকা। তবে বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে। গত বছর এ সময়ে প্রতি হালি ডিম ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।