কক্সবাজারের চকরিয়ায় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেফতার করতে গিয়ে র্যাবের সাথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ৩৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০০/৬০০জনকে আসামী দেখিয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আজমত আলী বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানাগেছে, র্যাব-১৫ কক্সবাজারের একটি টিম গত ৩১ডিসেম্বর ভোর ৫.৫০ ঘটিকার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা চারা বটতলী গ্রামে আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালায়। এসময় নেজাম উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন নামে ওয়ারেন্টভূক্ত ২জন আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালালে র্যাবের অভিযান কাজে বাধা সৃষ্টি ও র্যাবের টিমের সাথে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় র্যাবের কর্তব্যকাজে বাধাসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি করেন।
অপরদিকে, চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড খোজাখালী বাংলাপাড়া এলাকায় চলমান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক এর হাতঘড়ি মার্কার নির্বাচনী অফিস ১জানুয়ারী দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় একই দিন রাতে থানায় মামলা (নং ২, জিআর-২/২৪) রুজু হয়েছে। মামলাটি করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভুঁইয়া রিপন। ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বর্তমান সাংসদ জাফর আলমের অনুসারী স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেনসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৮/২৩জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এদিকে, ২জানুয়ারী (মঙ্গলবার) ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছালিয়া পাড়ায় এলাকায় মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নির্বাচনী কার্যালয়ে ফের অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে অফিসের চেয়ার-টেবিল, নির্বাচনী পোস্টার ও প্রচারণা কাজে ব্যবহৃত মাইক ও সাউন্ডবক্স পুড়ে যায়। নির্বাচনী অফিস কেয়ারটেকার আবু ছালেক (৪৫) কে হাত-পা বেঁধে পার্শ^বর্তী মাতামুহুরী নদীর চরের মরিচ ক্ষেতে নিক্ষেপ করে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। পরে ক্ষেতে আসা কৃষকরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগ নির্দেশিত প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের হাতঘড়ির পক্ষে কাজ করায় ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ও তার বাহিনীর অন্যতম সন্ত্রাসী সদস্য বদিউল আলমের নেতৃত্বে হুমকি ধমকিসহ অফিস পুড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হলে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা দেখতে পান। পরে থানা পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মেজর জেনাবেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন একের পর এক নির্বাচনী কার্যালয়ে অগিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে তাকে ও তাঁর কর্মী সমর্থকদের বাধা সৃষ্টি করছে।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।