ঢাকা, শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে রেলগেট স্থাপনের দাবিতে ট্রেন আটকে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল | প্রকাশের সময় : শনিবার ৮ অক্টোবর ২০২২ ০৪:৩৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং এ রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যানের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের হাতিয়া-ধুনাইল সংযোগ সড়কের হাতিয়া রেলক্রসিং এলাকায় পাঁচ গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনকে লাল কাপড় উড়িয়ে ২০ মিনিট আটকে রাখে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বিক্ষুব্ধ জনগন। পরে ট্রেনে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে গ্রামবাসী অবরোধ করা ট্রেনটি ছেড়ে দেন। এদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ট্রেন আটকে রেখে প্রতিবাদ করার সময় স্থানীয় পুলিশ ও রেল কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। 
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক, ৮নং ওয়ার্ডের জহিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফটিক মন্ডল ও নরদহী গ্রামের আব্দুল হালিম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া-ধুনাইল সংযোগ সড়কটি আগে কাঁচা ছিল, এখন পাকা হয়েছে। সেই পাকা হওয়ার কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে যে সমস্ত বাস, ট্রাক ও লড়ি আসে। তা ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা এই সড়কের গাড়ি। এই রেলক্রসিং এর পাশেই রয়েছে বেশকয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসাসহ বেশকয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা পায়ে হেঁটে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করে। এখানে হাতিয়া এলাকায় একটা বাঁকা মোড় থাকার কারণে এই রাস্তা থেকে ট্রেন আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যায় না। ফলে টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় রেলস্টেশন পর্যন্ত যে কয়টি রেলক্রসিং রয়েছে তার মধ্যে এই হাতিয়া রেলক্রসিংয়ে রেলগেট না থাকায় সর্বোচ্চ ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বোচ্চ অকাল মৃত্যু দেখতে হয়েছে গ্রামবাসীর।
বক্তারা আরও বলেন, কালিহাতীর সল্লা, দশকিয়া ইউনিয়নের ৭৫ ভাগ মানুষ এই আ লিক রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। বিভিন্ন জেলার বড় কোম্পানিগুলোর এসআররা এদিক দিয়েই চলাচল করে। প্রায়ই নতুন নতুন জীবন ট্রেনে কাটা পরে এই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে। একটা রেলগেট জীবনের রক্ষাকবজ, রেললাইন নির্মাণের পর থেকেই হাতিয়ার এই অরক্ষিত রেলক্রসিং এ শিশুসহ অন্তত দেড় শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। তারপরেও এই অরক্ষিত রেলক্রসিং এ রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগ দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। আমরা আর এই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে নতুন জীবন দিতে চাই না।
এ সময় বক্তারা প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী ও রেল সচিবের নিকট দ্রুত সময়ের মধ্যে হাতিয়া রেলক্রসিং এ রেলগেট স্থাপন করে গেটম্যান নিয়োগের জোড় দাবি জানান। রেলগেট স্থাপন করা না হলে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।