ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের নেকমরদ, পীরগঞ্জ ও বালিয়াডাঙ্গীতে তুমুল বেগে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের ভুট্টা, মরিচ সহ অনেক ফসল শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
অপরদিকে নেকমরদের রাস্তা পার হওয়ার সময় ময়না আক্তার (৪৫) নামের এক নারীর মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচু, ভুট্টা, মরিচ সহ অন্যান্য ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকার মরিচ চাষী ফরিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন পরই মরিচ তোলার কথা ছিলো তার। কিন্তু শিলা বৃষ্টিতে দুই বিঘা জমির মরিচ ঝড়ে পড়েছে তার। প্রতিবছর মরিচ বিক্রি করেই তিনি সংসারের সিংহভাগ খরচ বহন করে থাকেন।
বাগান ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম বলেন, সাড়ে তিনশ গাছের আমের গুটি ও পাতা ঝড়ে গেছে। আমি একদম পথে বসে গেলাম। এর আগে ঠাকুরগাঁও সদরের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলাম। সে ধকল সামলাতে না সামলাতেই আবারও শিলাবৃষ্টি আমার সবকিছু সর্বশান্ত করে দিয়েছে। গাছে যেসব আমের গুটি আছে তা দিয়ে আর কোন স্বপ্ন দেখতে চাইনা।।
রানীশংকৈলের লেহেম্বার ভূট্টাচাষী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভূট্টার মাঠ বিধ্বস্থ হয়ে গিয়েছে। ভূট্টার মোচাগুলো পাথরের আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। গাছগুলো ভেঙ্গে শুয়ে গেছে। আমি ৭ বিঘা জমিতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছি প্রায় তিন লাখ টাকা।
জেলার কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন বলেন, এবারের শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মরিচ, ভূট্টা, আম লিচুর গুটি সহ আরও অন্যান্য ফসলেও ক্ষতি হতে পারে। তবে কত হেক্টর জমিতে কি কি ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা জানতে মাঠে কাজ করছি আমরা। পরবর্তীতে এর সঠিক হিসেব জানাতে পারবো।