রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের দুদিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দু পক্ষের শুনানি শেষে তাকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল।
রিমান্ড শুনানিতে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক আদালতকে বলেন, আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা শেষে আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছি। যেখানকার ছাত্র নীল আর্মস্ট্রং। আমি ২৪ বছর সরকারি চাকরি করেছি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। দেশপ্রেমের তাড়নায় আওয়ামী লীগে যোগ দিই। স্বাধীনতার আগে স্বৈরাচার আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে জনসমাবেশ করেছি। ৬৯ এ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুধু অংশগ্রহণ না নেতৃত্ব দিয়েছি উল্লেখ করে এ সময় ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, আমার বয়স যখন ১১ মাস তখন বাবা মারা যান। আমি ও আমার ভাই নানা বাড়িতে মানুষ হয়েছি। আমরা সেল্ফ ডিপেন্ডেন্ট ছিলাম। আমার পরিবারের সবাই যার যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। আমাকে যে অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।’
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১নং গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাদায়ের করেন নিহত ব্যবসায়ীর আব্দুল ওয়াদুদের শ্যালক আব্দুর রহমান।
