বাংলাদেশ আজকে জ্বালানি খাতে সমৃদ্ধ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলেই। দেশের গ্যাস, দেশের মানুষের জন্য রাখতে এবং ভবিষ্যত জ্বালানি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই বঙ্গবন্ধু শেল কোম্পানী থেকে পাঁচটি গ্যাস ক্ষেত্র কিনে নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মধ্যেই তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গঠনে সম্ভাবনার দিক তৈরি করেছিলেন।
বুধবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় জ্বালানি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস গ্যাস ফিল্ডস এর ১ নং লোকেশনে 'জ্বালানি নিরাপত্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র অবদান' শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরো বলেন, স্মৃতিফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের জ্বালানি খাতের সমৃদ্ধতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে যেতে চাই। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে রূপান্তরিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লি. এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রশাসন মো. আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সুলতান। পরে গ্যাস ফিল্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদান শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচন শেষে দোয়া করা হয়।
স্মৃতিফলক উন্মোচনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সকল কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও যে কূপগুলো বন্ধ রয়েছে সেগুলো ওয়ার্কওভার এবং উন্নয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। তিতাসে আরো নতুন কূপ অনুসন্ধান করার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়ার্কওভার এবং নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি কূপের গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টাও করা হচ্ছে।