ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কক্সবাজারে পাহাড় কাটা নিয়ে মামলা

পরিবেশের আসামী হলো কথিত পরিবেশবাদী

স.ম ইকবাল বাহার চৌধুরী, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ ০৮:০০:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিক ও পরিবেশের নাম বিক্রি করে মারাত্মক পরিবেশ বিধ্বংসী পাহাড় ও বন উজাড় করায় কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ আইনে মামলা রুজু করেছে। গত ১৪ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মোঃ মুসাইব ইবনে রহমান এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার নামিয় পাঁচজন সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে এ মামলাটি গ্রহণ করেন। যার কক্সবাজার মডেল থানা মামলা নং ৪০/১৮৮, তারিখ ১৪/০৩/২০২৪ খ্রিঃ।

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং পরিচালক মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে গত ১২ মার্চ বিকাল ২ ঘটিকার সময় খুরুস্কুল পুর্ব হামজার ডেইল বনাকাটা এলাকায় বাদী কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক মোঃ মুসাইব ইবনে রহমান ও পরিদর্শক ফাইজুর রহমান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় এলাকাবাসী সর্বাত্মক সহযোগিতা করে তথ্য প্রদান করেন। এসময় পরিবেশের লোকজন যাওয়ার খবর পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরিদর্শন কালে দেখা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে প্রায় ৫০ ফুট উচু পাহাড়ের প্রায় ৩০ শতকের বেশী পাহাড় কেটে পরিবেশ প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেন। গত ১৫ জানুয়ারী/২৩ ইং তারিখ হতে ১২ মার্চ/২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত এক বছর দুই মাসের অধিক সময় ধরে পাহাড় কাটে প্লট বানিজ্য শুরু করে বলে জানান স্থানিয়রা। উল্লেখ থাকে যে, এ এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে বছর কানেক আগে আরো একটি মামলা হয়েছিল। আসামীগন আবোরো যোগসাজসে পাহাড় কেটে প্লট বানিজ্য করতেছে। সুস্পষ্ট আলামত পাওয়ায় বাদী এ মামলা করেছেন বলে জানান। পরিবেশ আাইনের ৬(খ) ও ১২ ধারা লঙ্গন করে একই আইনের ১৫(১) টেবিলের ৫,১২ ও ১৩ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০): পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি গ্রহণ ব্যতিরেকে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করার অপরাধে মামলাটি রুজু হয়। মামলার আসামীরা হলো ১) মোঃ নবাব মিয়া(৪৮), পিতা- মৃত আব্দু শুক্কর, সাং কুলিয়া পাড়া, খুরুস্কুল,২) নাছির উদ্দিন রুনা(৪৯), পিতা- মৃত আব্দু রহিম, সাং টেকপাড়া, কক্সবাজার পৌর সভা,৩) রাশেদুল মজিদ(৪১), পিতা- মৃত আব্দুল মজিদ, সাং বাদশা ঘোনা, ৯ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা ৪) সিরাজুল ইসলাম (৩৭), পিতা- নুরুল ইসলাম, সাং ঘোনার পাড়া অংশ, ৯ নং ওয়ার্ড,  কক্সবাজার পৌরসভা ও ৫) মহসিন প্রকাশ মহসিন শেখ (৪৪), পিতা- মরহুম খায়রুজ্জামান মুন্সি, সাং পশ্চিম বাহার ছড়া, ১১ নং ওয়ার্ড,  কক্সবাজার পৌরসভা,  সর্ব উপজেলা-সদর, কক্সবাজার সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন আছে।

 

উল্লেখ্য যে ৩ নং আাসামী রাশেদুল মজিদের নামে পরিবেশ নাম চাঁদাবাজির আরো একটি মামলা হয়েছে দিয়ে ইতিপূর্বে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে। যার মামলা নং ১৮৬/২০২৪। তা ছাড়া গত ১৪ মার্চ ৪ নং আসামী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিবেশ নিয়ে দালালী করা ও চাঁদাবাজি করার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগি পরিবার। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার পর জেলা প্রশাসক বরাবরে পরিবেশ দালাল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন, তাতে ৩ ও ৪ নং আসামীর নাম আছে। 

 

পরিবেশের মামলা বিষয়ে জানতে মামলার বাদি পরিদর্শক মোঃ মুসাইব ইবনে রহমানকে তার সেল ফোনে বার বার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।