ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিপদে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : শনিবার ৮ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৯:০০ অপরাহ্ন | খেলাধুলা

 

 

দ্বিতীয় ওয়ানডের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২৩ ওভারে ৯৩/৬ (মুশফিক ১৪*, মিরাজ ৭*; আফিফ ০, সাকিব ২৫, হৃদয় ১৬, নাঈম ৯, শান্ত ১, লিটন ১৩)

 

আফগানিস্তান ৫০ ওভারে ৩৩১/৯ (মোহাম্মদ নবী ২৫*; ফারুকী ১, মুজিব ৫, ওমরজাই ২, রশিদ ৬, ইব্রাহিম ১০০, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৪৫, রহমত শাহ ২, হাশমতউল্লাহ শহীদী ২, নাজিবউল্লাহ জাদরান ১০)

 

 

রশিদের ঘূর্ণিতে আফিফ প্যাভিলিয়নে

 

 

রশিদ খান তার দ্বিতীয় ওভারে আরেকটি উইকেট পেলেন। আফিফ হোসেনকে এলবিডব্লিউ করেন আফগান স্পিনার। নিজের প্রথম বলেই আউট তিনি। ৭২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। চার বলের মধ্যে দুই ব্যাটারের বিদায়ে কঠিন চাপে তারা।

 

সাকিবের বিদায়ে কঠিন চাপে বাংলাদেশ

 

একাই লড়ছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকেও থামতে হলো। মোহাম্মদ নবীর বলে এলবিডব্লিউ হন বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ২৫ রান করে আউট তিনি। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি সাকিব। ৭১ রানে ৫ উইকেট গেলো বাংলাদেশের। লক্ষ্য ৩৩২ রান।

 

রশিদ নেমেই ভেঙে দিলেন সাকিব-হৃদয়ের প্রতিরোধ

 

পাওয়ার প্লেতে যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশ লড়াইয়ের আভাস দেয়। ১১তম ওভারে মোহাম্মদ সেলিমকে সাকিব আল হাসান মারেন বাউন্ডারি। ১৫তম ওভারে একই বোলারকে টানা চার মারেন বাঁহাতি ব্যাটার। তাতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। 

 

কিন্তু রশিদ খান ১৭তম ওভারে বল হাতে নিয়েই সাকিব ও তৌহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের জুটি ভেঙে দেন।

 

আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান হৃদয় ৩৪ বলে ১৬ রান করে বোল্ড হন। ৬৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।  

 

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং

 

৩৩২ রানের লক্ষ্যে প্রত্যাশিত শুরু হয়নি বাংলাদেশের। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ছন্নছাড়া স্বাগতিকরা। ফজল হক ফারুকীর পেস, আর মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে সুবিধা করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে তাদের সংগ্রহ মাত্র ২৮ রান, গেছে ৩ উইকেট। দলীয় ১৫ রানে লিটন দাসকে ফেরান ফারুকী, তারপর মুজিব বোল্ড করেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। ফারুকী তার দ্বিতীয় শিকার বানান নাঈম শেখকে বোল্ড করে। ২৫ রানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬৭ রান, কোনও উইকেট না হারিয়ে।

 

তিন উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

 

৩৩২ রানের লক্ষ্যে নেমে বাজে শুরু হলো বাংলাদেশের। ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর আর পাঁচটি রান যোগ হতেই নেই দ্বিতীয় উইকেট। নাজমুল হোসেন শান্তকে (১) ক্লিন বোল্ড করেছেন মুজিব উর রহমান। তামিম ইকবালের বদলে ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ নাঈমও বোল্ড হন মাত্র ৯ রান করে। ২৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।

 

হধববস নড়ষফ

বোল্ড নাঈম

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অধিনায়ক করলেন ১৩ রান

 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৩ রান করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শতভাগ ফিটনেস না নিয়েও ক্রিজে নেমে হতাশ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তা ভাঙার পর আপাতত ছুটি নিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। তার বদলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করছেন লিটন দাস। তিনিও হতাশ করলেন। তারও রান ১৩। ফজল হক ফারুকীর বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে মোহাম্মদ নবীর সহজ ক্যাচ হন লিটন। ১৫ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার। ১৫ রানে ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি।

 

রিভিউ নিয়ে ক্রিজে থেকে গেলেন লিটন

 

প্রথম ওভারে ফজল হক ফারুকীর কাছ থেকে কোনও রান নেননি মোহাম্মদ নাঈম। পরের ওভারে প্রথম বল খেলেন লিটন দাস। রান করেননি। পরের দুটি বলে চার মেরে গ্যালারি মাতান তিনি। এরপর মুজিব উর রহমানের আপিলে এলবিডব্লিউর রায় দেন আম্পায়ার। তবে লিটন রিভিউ নেন এবং ব্যাটে বলের স্পর্শ থাকায় বেঁচে যান।

 

সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩২ রান

 

উদ্বোধনী জুটিতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের হাতেই ম্যাচ ছিল। ৩৬ ওভার ধরে আধিপত্য চলছিল তাদের। বিনা উইকেটে ২৫৬ রান করেছিল সফরকারীরা, এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। পরের ১৪ ওভারে ৯ উইকেট তুলে নেয় তারা, এই সময়ে দেয় ৭৫ রান।

 

আফগানিস্তানের প্রথম জুটি ভাঙে ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে। গুরবাজ ১৪৫ রানে থামেন। দলীয় ২৫৬ রানে সাকিব আল হাসান নেন উইকেটটি।

 

পরের দুই ওভারে গেলো রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহীদীর উইকটে। দুজনেই দুটি করে রান করেন। ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় আফগানরা।

 

এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরান এই ধাক্কা সামলান। তার সঙ্গী ইব্রাহিম ছিলেন সেঞ্চুরির খোঁজে। ৪৪তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান নাজিবউল্লাহকে (১০)। 

 

সেঞ্চুরি করে ফিরে যান ইব্রাহিম, করেন ১০০ রান। একে একে রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাইও প্যাভিলিয়নে। শেষ দুই ওভারে তিনটি উইকেট পড়ে আফগানিস্তানের। মুজিব উর রহমান ও নবী শেষ ওভারে একটি করে চার ও ছয় মেরে রান তিনশ ত্রিশ পার করেন। হাসান মাহমুদ ফেরান মুজিব ও ফজল হক ফারুকীকে। ৩৩১ রানে থামে আফগানরা। ১-০ তে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে টিকে থাকতে করতে হবে ৩৩২ রান।

 

বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান, সাকিব ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন।

 

ভধৎড়ড়শর নড়ষিবফ

ব্যাটিংয়ে ধাক্কা খেয়ে শুরু বাংলাদেশের

আফগানিস্তানের আরেকটি উইকেট পেলো বাংলাদেশ

 

শেষের আগের ওভারে সপ্তম উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ। ওমরজাইকে মোস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় শিকার বানান। ২ রান করে সাকিবের ক্যাচ হন তিনি।

 

রশিদ স্টাম্পড

 

রশিদ খানকে স্টাম্পিং করলেন সাকিব আল হাসান। পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে শট খেলতে গিয়ে ৬ রানে উইকেট হারান আফগান ব্যাটার। 

 

সেঞ্চুরি করে ফিরলেন ইব্রাহিম

 

সেঞ্চুরি করে ফিরলেন ইব্রাহিম জাদরান। মোস্তাফিজুর রহমানের নবম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে শতক হাঁকান আফগান ব্যাটার। এরপর আর দুই বল খেলে বিদায় নিলেন তিনি। মোস্তাফিজের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন ইব্রাহিম। ১১৯ বলে ১০০ রান তার।

 

মিরাজের আঘাতে পড়লো চতুর্থ উইকেট

 

দ্রুত উইকেট নিতে পারার ফল হাতেনাতে পাচ্ছে বাংলাদেশ। ছন্দপতন ঘটেছে আফগান ইনিংসের। স্বাগতিকরা লড়াইয়ে ফেরায় আফগানদের চাপে ফেলা গেছে। রান বাড়াতে বড় শট খেলতে গিয়ে চতুর্থ উইকেটও হারিয়েছে সফরকারীরা। মিরাজের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে লং অনে তালুবন্দি হয়েছেন নাজিবউল্লাহ (১০)।

 

নাজিবউল্লাহর ক্যাচ ছাড়লেন শান্ত

 

৪১.৫ ওভারে দ্রুত চতুর্থ উইকেট তুলে আফগানদের আরও বিপদে ফেলতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু নাজিবউল্লাহ জাদরানের ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি বোলিংয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। নাজিব তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন।   

 

দ্রুত আফগানদের তৃতীয় উইকেটও তুলে নিলো বাংলাদেশ

 

গুরবাজকে আউট করার পর পর দৃশ্যপট পাল্টে যায় আফগানদের। তিন ওভারে দ্রুত তিন উইকেট তুলে আফগানদের চাপে ফেলতে পেরেছে স্বাগতিক দল। সাকিব, এবাদতের পর উইকেট শিকারে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৮.৬ ওভারে হাশমতউল্লাহ শহীদীকে বোল্ড করেছেন এই অফস্পিনার। হাত খোলার আগেই ২ রানে ফিরেছেন আফগান অধিনায়ক।    

 

গুরবাজের পর রহমতকেও বিদায় দিলো বাংলাদেশ

 

প্রতিষ্ঠিত ও আগ্রাসী জুটি ভাঙার পর রান বাড়িয়ে নেওয়ার মুহূর্তে আফগানদের ছন্দ পতন ঘটাতে পেরেছে বাংলাদেশ। গুরবাজের আউটের পরের ওভারে নতুন নামা রহমত শাহকে আউট করেছেন পেসার এবাদত। পুল করতে গিয়ে মোস্তাফিজকে ক্যাচ দিয়েছেন আফগান ব্যাটার। ফেরার আগে মাত্র ২ রান করেছেন তিনি। 

 

২৫৬ রানের জুটি ভাঙলেন সাকিব

 

টস হেরে ব্যাট করতে নামলেও বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। বিশেষ করে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অসাধারণ ব্যাটিংয়ে। তাছাড়া বাংলাদেশ তো বটেই সার্বিকভাবে রেকর্ড ২৫৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন গুরবাজ-জাদরান। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনও উইকেটে এটি তাদের সর্বোচ্চ। 

 

বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভাঙেন সাকিব। ৩৬.১ ওভারে রহমানউল্লাহকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তুলেছেন। পরে রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। তাতে ১২৫ বলে ১৪৫ রানে ফিরেছেন গুরবাজ। তার ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও ৮টি ছয়ের মার।   

 

ওপেনিং জুটিতেই দাঁড়িয়ে গেছে আফগানিস্তান।

ওপেনিং জুটিতেই দাঁড়িয়ে গেছে আফগানিস্তান।

৩২ ওভারেই স্কোর ছাড়িয়েছে ২০০

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনও উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েছে আফগান দল। সফরকারীদের দুই ওপেনার সাকিব-এবাদতদের কোনও পাত্তাই দেয়নি। ৩২ ওভারে দলের স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে। ৩৬ ওভারে সেটা হয়ে যায় ২৫৬! তাতে এবারই প্রথম কোনও দলের বিপক্ষে আড়াইশ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েছে তারা।    

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনও উইকেটে রেকর্ড জুটি আফগানদের

 

একপ্রান্ত আগলে খেলছেন ইব্রাহিম জাদরান। আরেক প্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটা করে যাচ্ছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সাকিবকে ছক্কা মেরে পূরণ করেছিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। তার হাফসেঞ্চুরি এসেছে ৪৮ বলে। পরে সেটি রূপ দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। গুরবাজ ১০০ বলে করেছেন চতুর্থ সেঞ্চুরি। গুরবাজের পর তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ইব্রাহিদ জাদরানও। ৭৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি।  

 

তাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এবারই প্রথম ওপেনিং জুটিতে ১৯০ প্লাস রান যোগ করেছে আফগান দল। সার্বিকভাবে সব দল মিলেই এটি আবার সেরা ওপেনিং জুটি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও যে কোনও উইকেটে সেরা।  

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের সেরা ওপেনিং জুটিটি ছিল ৭৯। গত বছর চট্টগ্রামে ওপেনিংয়ে এই রান করেছিলেন রিয়াজ হাসান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনও উইকেটে আগের সেরাটি ছিল ১৬৪। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ও আসগর আফগান ২০১৪ সালে ফতুল্লায় এই রান যোগ করেছিলেন।  

 

পাওয়ার প্লেতেই আফগানদের ৬৭

 

যে আশায় শুরুতে বোলিং নেওয়া তাতে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ৫ ওভার দেখেশুনে ব্যাট করলেও পরে হাত খুলতে থাকেন আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। বিশেষ করে বাংলাদেশের নখদন্তহীন বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন গুরবাজ। তাতে ৮ ওভারেই আফগানদের স্কোরবোর্ড ছাড়ায় পঞ্চাশ। ৮.১ ওভারে সাকিবের বলে লং অফে কঠিন ক্যাচ উঠেছিল জাদরানের। কিন্তু সেটি ডাইভ দিয়েও হাতে জমাতে পারেননি হৃদয়। পাওয়ার প্লের দশ ওভারে ওপেনিং জুটিতে যোগ হয়েছে ৬৭ রান।  

 

টসের মুহূর্তের ছবি।

টসের মুহূর্তের ছবি।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ, একাদশে এবাদত ও নাঈম

 

চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অবশ্য টস জিতেছে। তারাও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরকারীদের মতো।

 

বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরেছে স্বাগতিক দল। সিরিজ বাঁচাতে আজ বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। তার ওপর অবসর নাটকের পর অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ৬ সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার বদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস।  

 

বাংলাদেশ দলে আজ দুটি পরিবর্তন এসেছে। পেসার তাসকিন আহমেদ ও তামিম ইকবালের বদলে খেলবেন এবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।  আফগান দলে কোনও পরিবর্তন নেই।  

 

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।

 

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবউল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ সেলিম।