একটি শিশুর জন্ম দেওয়ার মতো আনন্দজনক বিষয় পৃথিবীতে কমই আছে। নতুন মা-বাবা হওয়াটাও নিঃসন্দেহে আনন্দজনক। কিন্তু এটি যথেষ্ট কঠিনও। শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য অনেক কাজ করতে হয় যা একসময় মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। বিয়ের পরপরই বেশিরভাগ দম্পতিকে যে প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয় তা হলো- ‘সন্তান নিচ্ছেন না কেন?’। বন্ধু, পরিচিতজন কিংবা আত্মীয়-স্বজন কেউই এই প্রশ্নটি না করে থাকতে পারে না।
বেশিরভাগ দম্পতির ক্ষেত্রে বিয়ের পরপরই সন্তান নেওয়ার জন্য চারদিক থেকে চাপ আসতে থাকে, তাতে যদি তারা মা-বাবা হওয়ার জন্য প্রস্তুত নাও থাকে। সেসব মানুষকে মুখের ওপর কিছু বলাও সম্ভব হয় না। কারণ বিষয়টি একদিনে গড়ে ওঠেনি। যারা এভাবে প্রশ্ন করে তারা নিজেরাও একটা সময় এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে বা অন্যদের হতে দেখেছে। তাই এটি খুব স্বাভাবিক হিসেবেই তারা ধরে নেয়। বিশেষ করে নারীদের এই প্রশ্নের মুখোমুখি অনেক বেশি হতে হয়। যদি আপনিও এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তবে এই কৌশলগুলো মেনে চলুন-
বিষয়বস্তু বদলে ফেলুন
যখন আত্মীয়-পরিজনরা আপনার সন্তান নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইবে, সম্ভব হলে বিষয়টি এড়িয়ে যান বা আলোচনার বিষয়বস্তু বদলে ফেলুন। অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। আপনার সেইসব শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও সেই বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করুন। নয়তো তারা আপনার ভবিষ্যৎ সন্তান বিষয়ক আলোচনা চালিয়ে যেতেই থাকবে।
সীমানা নির্ধারণ করুন
যদি আপনি সন্তান নেওয়া বিষয়ক কথাবার্তায় আগ্রহী না থাকেন বা বিরক্তি বোধ করেন তবে এটি থামিয়ে দিন। বয়সে বড় বলেই কারও সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নিজেকে চাপ দেবেন না। আপনি যেহেতু উৎসাহী নন তাই এই বিষয়ে একটি সীমানা নির্ধারণ করে দিন। যেন যে কেউ এসে সন্তান বিষয়ক আলোচনা শুরু করে দিতে না পারে।
স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন
যদি আপনার স্বামীর পরিবার থেকে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে অনবরত বিরক্ত করতে থাকে তবে সবার আগে আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন। কেন এ ধরনের প্রশ্ন তাদের বন্ধ করা উচিত সেকথা আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি নববিবাহিতা হয়ে থাকেন তবে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন
যদি এসবের কোনোকিছুই কাজ না করে তবে যারা ‘সন্তান কবে নিচ্ছেন’ বলে অনবরত বিরক্ত করে তাদের পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। তবে তাদের অসম্মান করবেন না বা আপনার কোনো কথায় যেন তারা কষ্ট না পায়। বরং কৌশল বেছে নিন। তারা এ বিষয়ে কথা শুরু করলে বলুন যে, ‘আমার এখন ভালো লাগছে না, পরে কথা বলবো’। তাতে তারা বুঝে যাবে যে আপনি এই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন।