ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা আরো জোরদার করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

রিয়াদ হাসান : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সাবেক তত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং পিপিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, দ্রুত নগারায়নের ফলে স্বস্থ্যসেবার চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ কারনেই, সমন্বিত স্বাস্থ্য সেবা আরো জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, রোগ নিরাময় করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এমন বাস্তবতায় নগরাঞ্চলে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে সেফটিনেট বাংলাদেশ। শুধু মহানগরে নয়, সারাদেশেই রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোকে আরো এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। ২০২০ সালে চালু হওয়া এই কর্মসূচি বাংলাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে জনস্বাস্থ্য সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। এছাড়া, ১২টি সিটি কর্পোরেশনে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার প্রশংসাও করেছেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারেরে উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। 

 

আজ দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপিএইচই অডিটোরিয়ামে  "নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি"র অগ্রগতি ও মতবিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ কথা বলেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র ও বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর সহায়তায় সেফটিনেট বাংলাদেশ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। 

 

সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) ডাঃ সৈয়দ হাসান আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অসুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামান ও ইউ এস সিডিসি বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডাঃ নিলি। এছাড়া, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকগণ, এবং স্থানীয়্ সরকার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগীয় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও দেশের প্রথিতযশা জনস্বাস্থ্যবিদগ্ণ উপস্থিত ছিলেন।

 

ইউএসসিডিসি সেফটিনেট গত চার বছরে, কর্মসূচিটি শহুরে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার মতো অসংক্রামক রোগ এবং ডেঙ্গু ও হেপাটাইটিস বি-এর মতো সংক্রামক রোগগুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে জনস্বাস্থ্য প্রচারণা পরিচালনা করেছে। যা হাজার হাজার শহুরে বাসিন্দাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়াও, কর্মসূচিটি Applied Epidemiology and Public Health Management Fellowship নামক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে, যা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এবং চিকিৎসা পেশাজীবীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে, যাতে তারা জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এর পাশাপাশি, ছয়টি প্রধান সিটি কর্পোরেশনে একটি সংক্রামক রোগ নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে, যা শহরগুলোর রোগ সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত করেছে। মতবিনিময় সভার অভিজ্ঞতাসমূহের প্রতি আলোকপাত ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অর্জিত অগ্রগতিসমূহকে ধরে রাখা যায়।