ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সূর্যমুখীর হাসি

এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২ মার্চ ২০২৪ ০৫:২৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে যেন বিশাল আকারের হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। তবে কাছে গেলে চোখে পড়ছে হাজারো সূর্যমুখী ফুল। বাতাসে দোল খেয়ে ফুলগুলো যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য উপভোগ করার। ভোরের সূর্য উঁকি দিতেই আড়মোড়া ভেঙে এই সূর্যমুখী ফুলেরা জেগে ওঠে। আর সেই হলুদ ফুলের হাসিতে নিজেদের বৈকালীন সময় কাটাতে সেখানে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্যটির দেখা মিলেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের নওটিকা গ্রামে। বীজ উৎপাদন ও সংগ্রহের জন্য এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে বাজিমাত করেছেন ওই গ্রামের কৃষক দিলীপ চন্দ্র সরকার। তিনি প্রায় এক একর ক্ষেতজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে এখন লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

 

ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে  রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বীজ উৎপাদন ও সংগ্রহের জন্য চলতি মৌসুমে উপজেলার নওটিকা গ্রামের কৃষক দিলীপ চন্দ্র সরকার ও রুপকুমার চন্দ্র বর্মনকে পরামর্শ দিয়ে প্রায় সাড়ে  পাঁচ বিঘা পরিমাণ জমিতে সূর্যমুখী রোপনের জন্য বীজ দেওয়া হয়। (গত ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর) বপন করা হয়েছে কাভেরীচম্প জাতের কয়েক হাজার সূর্যমুখীর বীজ। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ দেওয়ার পাশাপাশি সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। 

 

উপজেলা কৃষি অফিস আরো জানায়, রোপনকৃত সূর্যমুখী বীজের প্রায় প্রতিটি গাছেই ফুল ফুটেছে। খুব দ্রুত এই ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। তারা সার্বিকভাবে নজরদারি করছেন। 

 

সূর্যমুখী চাষকৃত ঐ ক্ষেতের মালিক ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, দিনভর এই সূর্যমুখীর ক্ষেতে আসতেছে নানান বয়সী মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের এ ক্ষেতটি এখন সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে দর্শনীয় স্থানের মতো। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আসছেন, কেউ বা আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। সুখস্মৃতি ধরে রাখতে নানা ভঙ্গিতে মুঠোফোন কিংবা ক্যামেরায় ছবি তুলছেন তারা। দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে ছবি তুলতে সবারই ভালো লাগে তাইতো এখানে ছুটে আসছেন সব বয়সের নারী পুরুষ। পাশাপাশি  সরকারি কর্মকর্তারাও ছুটির দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।