জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশ। তবে সরকারের আশ্বাসে পেট্রোল পাম্প মালিকদের আরেক অংশ এতে সমর্থন দেয়নি।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু পাম্প তেল সরবরাহ করছে। আবার কিছু কিছু পাম্প সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
গতকাল রাতেই মালিকদের দাবির একটি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন বলেন, একটি দাবি পূরণ হলেও কমিশন বাড়ানোর মূল দাবি মানা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্যও ডাকা হয়নি। তাই কর্মসূচি চলমান থাকবে। পাম্প থেকে তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক। তবে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলে কাল থেকেই পাম্পে তেল সরবরাহ কমতে থাকবে বলেন তিনি। আগামীকাল অনেক পাম্প থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিল। সমিতির একাংশ কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
তবে পেট্রলপাম্পের মালিকদের একাংশের সংগঠন এটি। এর বাইরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউশন, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন আছে। এটি পেট্রলপাম্পের মালিকদের পুরোনো ও বড় সংগঠন হিসেবে পরিচিত। আজ দুপুরে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
জ্বালানি তেল পরিবহনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামেও একটি সংগঠন আছে। দাবি আদায়ে এই দুই সংগঠনের কোনো কর্মসূচি নেই। সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই জ্বালানি উত্তোলন স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
যেসব দাবিতে ধর্মঘট
জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা। পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট, তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা। (ক) ট্যাংকলরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়, এ বিষয়ে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ। (খ) ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।