কালুরঘাট সেতু বন্ধ হওয়ার পর থেকে বোয়ালখালীবাসির যোগাযোগের একমাত্র ভরসা হয়েছে কালুরঘাট ফের। ফেরী একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হলেও বোয়ালখালীবাসি এখন অনেকটাই হতাশ এবং ভয় ও আতংকের মধ্যেই ফেরী যোগাযোগ ব্যবহার করছে। কোনভাবেই যেন বোয়ালখালীবাসির অভিসপ্ত ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ার নয়।
প্রতিদিনই ঘটছে কালুরঘাট ফেরীতে নানারকমের দূ্র্ঘটনা।কয়েকদিন আগে ফেরী চলন্ত অবস্তায় খুব জোড়ে ধাক্কা মেরে দিয়েছিল ঘাটের বড় বড় পিলারে।।এতে ফেরীতে থাকা অনেক গাড়ীর যাএী আহত হয়েছিল। এটা নিয়ে নিউজ ও প্রকাশ করেছিল চট্টগ্রামের কয়েকটি স্হানীয় পএিকা।তারপরও যেন কারও নজর নেই অভাগা এই বোয়ালখালীবাসির দিকে।
একটা জাতির উন্নয়নে যোগাযোগ মাধ্যম র ভূমিকা অপরিসীম আর সেই হিসেবেই সরকার বাহাদুর সারাদেশব্যাপী যোগাযোগখাতে উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ শুরু করেছে। কিন্তু সেই উন্নয়নের মহাআয়োজনের চিঠেফোটাও যেন বোয়ালখালীবাসির কপালে জুটছে না।।বার বার যেন বোয়ালখালীবাসির ভাগ্য নিয়েই চলছে এক অন্যরকম দাবাখেলা।ভোট আসলেই যেন সকল প্রতিনিধির মুখরোচক বিষয় হয় এই কালুরঘাট সেতু।
প্রতিদিন বোয়ালখালীবাসি বাসা থেকে বেড় হওয়ার সময়
এই চিন্তা করে বেড় হয় যে সুস্থভাবে বাসায় ফিরে যেতে পারবে কিনা।।ফেরী থেকে গাড়ি নামার পথে ও ফেরী থেকে গাড়ি উঠার পথে লোহার পাঠাতন একটা থেকে আরেকটা অনেক উঁচুনিচু হয়েগেছে এবং তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাঁক।
এযেন বোয়ালখালীবাসির জন্য মরণ ফাঁদ। প্রতিদিন কোন না কোনভাবে আহত হচ্ছে যাএীরা। বোয়ালখালীর একমাএ যোগাযোগ মাধ্যম ফেরী হওয়াতে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ দিনকে দিনকে চরমে পৌছেচে।বোয়ালখালীবাসির উন্নয়নের ভাগ্য যেন অভিশাপের চাদরে ঢেকে গেছে, কোনভাবেই এই অভিশাপের চাদর সরবার নয়।
চব্বিশ ঘন্টার কালুরঘাট সেতুর বিকল্প হিসেবে বোয়ালখালীবাসির কপালে যেকিনা ফেরী জুটল তাও আবার চলে পনের ঘন্টা।।
নামে দুইটা ফেরী চললেও অনেক সময় একটা দিয়ে কাজ সেরে ফেলেন ফেরী সংস্থার ওস্তাদরা।একদিকে ফেরী দিয়ে যাএীদের একবার নদী পারাপারার জন্য অপেক্ষা করা লাগে যেখানে আধাঘন্টা সেখানে অনেক সময় ফেরি দুইটার মধ্যে সার্ভিস দেয় একটা আবার প্রতিদিন ঘটে কোন না কোন দূর্ঘটনা।কিন্তু ফেরির এই নানারকম সমস্যার দায়ভার গ্রহণ করছেন না কেউ।
এককথায় বোয়ালখালীবাসির ভাগ্য যেন অপরির্তনশীল। এখন শুধু দেখার বাকি,কখন মেঘে ঢাকা বোয়ালখালীবাসির ভাগ্য আকাশে সূর্য উঠবে।