গত ছয় মাস আগে সৈকত আলী জয় (১৪) নামে এক মেধাবি ছাত্রের দাঁতের মাড়ি হঠাৎ করে ফুলে যায়। কিছু দিন যেতে না যেতেই শরীরে রক্ত থাকেনা, জ¦র আসে, মাথা ঘুরে ও বমি বমি লাগে সৈকত আলী জয়ের।
দিনমজুর বাবা জহিরুল ইসলাম পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানতে পারেন তাঁর ছেলের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মাথায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের দিন সৈকত আলী জয় (১০) ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে হাঁটছেন। গেল এক বছরের বেশি সময়ে বাবা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছেলের চিকিৎসা করিয়ে আর্থিক ভাবে সর্বশান্ত হয়েছেন।
সৈকত আলী জয় ধনতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর ক্লাস রোল ৩। এর আগে পিএসসি পরিক্ষায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছিলেন।
সৈকত আলী জয়কে বাঁচাতে প্রায় ৮-১০ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা করালে তাকে বাঁচানো সম্ভব। ছেলেকে বাঁচাতে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় দিনমজুর বাবার পক্ষে। তাই নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বাঁচাতে আর্থিক সহায়তা চান বাবা জহিরুল ইসলাম। এর আগে শেষ সম্বল ১২ শতক জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে শুয়া ফুট ফুটে সুন্দর সৈকত আলী জয়। জানেনা সে কোন রোগে আক্রান্ত। তবে সে এতটুকু জানে, ‘তাঁর শরীরে রক্ত থাকেনা, জ¦র আসে, মাথা ঘুরে ও বমি বমি লাগে। তাঁর বাবার টাকা না থাকায় ভাল চিকিৎসা করাতে পারছে না। সে সুস্থ হতে চাই ও সুস্থ হয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষক হতে চাই।
জয়ের বাবা জহিরুল ইসলাম বলেন, এই ছয় মাসে ছেলের রোগ নির্ণয় করতেই সয়-সম্বল বলতে আবাদি ১২ শতক জমি ছিল তাও শেষ করে ফেলেছি। এখন আমি নিঃস্ব তাই ছেলের চিকিৎসা এখনো শুরুই করতে পারিনি। এখন মাসে প্রায় ৪-৫ ব্যাগ রক্ত ভরতে হচ্ছে জয়ের শরীরে। তাই আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের কাছে সাহায্য-সহযোগিতা চাচ্ছি। সাহায্য সহযোগিতা পেলে হয়তো আমার ছেলেটা সুস্থ্য হয়ে উঠবে, আগের মতো খেলা-ধুলা করবে ও স্কুলে যেতে পারবে।,
জয়ের মা সারজিনা বলেন, ২২ বছরের সংসার দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী হই। এটাই একমাত্র ছেলে। জয়ের দিকে দেখা মাত্রই তিনি হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার ছেলেকে বাঁচাতে দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।,
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: নাজমুল রহমান জানান, ঢাকা মেডিকেলের এক রির্পোটে জয়ের লিউকেমিয়া অর্থাৎ ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে। এই রোগে শরীরের রক্ত কণিকা গুলো কমে যায়। তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসা হয়। অবহেলা না করে যত দ্রæত সম্ভব তার চিকিৎসা শুরু করা। তাহলেই হয়তো সে সুস্থ হয়ে উঠবে।
সৈকত আলী জয়কে সহযোগিতা করতে চাইল তাঁর বাবা জহিরুল ইসলামের মোবাইল নম্বর: ০১৭৮৭-৯৮০১৪৩।