ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে গুলি করে হত্যা ,৩ জন নিখোঁজ

আব্দুল মজিদ, খাগড়াছড়ি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে লোগাংয়ের অনিল এলাকায় গতকাল (১১ ডিসেম্বর) গুলি করে ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে নিখোঁজ তিন জন।

 

নিহতরা হলেন-পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্ৰীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা(৩২) পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা(২৮),গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা লিটন চাকমা(২৯) ও ইউপিডিএফ সদস্য রহিন ত্রিপুরা (৪৯)।

 

এ ঘটনায় আরো নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা আজ ঐ এলাকায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ উক্ত ৭ জন নেতা-কর্মী গতকাল সোমবার লোগাঙ এলাকায় যান। তারা রাতে অনিল পাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙারে নব্যমুখোশ দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা ঠাণ্ডা মাথায় একে একে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদেরকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে চলে যায়।

এ ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে নীতিদত্ত ও হরি কমলকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

 

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) কে দায়ী করেছেন।

 

তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা। তিনি বলেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।

 

পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম মঙ্গলবার সকালে দৈনিক বায়ান্নকে বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চার জন নিহত হওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”