ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

গদখালি ফুলের বাজারে হাসি ফুলচাষির

বেনাপোল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫৪:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস ঘিরে জমে উঠেছে গদখালীর ফুলের বাজার। প্রায় দুই বছর পর মুখে হাসি ফুটেছে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীর চাষিদের। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুলের ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় করোনা, আম্ফান ঘূর্ণিঝড় ও অসময়ের বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন তাঁরা।

দুই দিবস ঘিরে আগের তুলনায় বেচাকেনা বেড়েছে গদখালীর ফুল বাজারে। ইতিমধ্যে গত তিন দিনে বাজারটিতে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় আগের বাজারদর থেকে বেশি দামে ফুল বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে এই ফুলের হাট বসে গদখালীতে।

গদখালী ফুল বাজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে গত তিন দিনে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদা ফুল। বাজারে এই প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। যা আগে দাম ছিল দেড়শ’ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫০-৩০০ টাকা। একেকটি গোলাপ বিক্রি হয় ৪-৬ টাকায়, যা আগে ছিল দেড় থেকে ২ টাকা। রজনীগন্ধা একেকটি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৮ থেকে ১০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭ থেকে ৮ টাকা। রঙিন গ্লাডিউলাস প্রতিটি মান ভেদে বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ১৫ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৩-৬ টাকা। জারবেরা বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়, যা আগে দাম ছিল ৬ থেকে ৮ টাকা। ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা আঁটি, যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। জিপসির আঁটি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। যা আগে বিক্রি হতো ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

বাজারে কথা হয় উপজেলার হাঁড়িয়া গ্রামের আশরাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ১৭ কাঠা জমির গাঁদা ফুল বিক্রি করেছি ৭০ হাজার টাকায়। গত বছর মে মাসে আম্ফানের সময় একই খেতে গাঁদা ফুল চাষ করেছিলাম। তখন মাত্র দু শ টাকার ফুল বিক্রি করতে পেরেছি।

পানিসারা গ্রামের বর্গাচাষি আজিজুর রহমান সরদার বলেন, এক বিঘা জমিতে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, চায়না গোলাপ চাষ করেছি এবার। এ ছাড়া ১০ কাঠায় গ্লাডিউলাস ও ১৫ কাঠায় গাঁদা ফুল ছিল। এসব ফুল বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকায়।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে করোনাভাইরাস, লকডাউন, আম্ফান ঘূর্ণিঝড় ও সম্প্রতি অসময়ে বৃষ্টিতে ফুলচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত তিন দিনে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।